তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবকটি ম্যাচেই ইংল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ। সিরিজ হারার পাশাপাশি টাইগারদের কাছে তাই হোয়াইটশের স্বাদও পেলো ইংলিশরা।বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। অভিষিক্ত তানভির প্রথম ওভারেই ফেরায় ফিলপ সল্টকে।কোনো রান না করেই আউট হন তিনি।এরপর ডেভিড মালান ও জস বাটলারের দৃঢ়তায় সেই ধাক্কা সামাল দেয় ইংল্যান্ড।তাদের দুজনের ৯৫ রানের জুটিতে জয়ের পথেই এগোচ্ছিলো
ইংলিশরা।ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করে মোস্তাফিজের বলে আউট হন মালান ৫৩(৪৭)।এক বল পরেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা জস বাটলারকে ৪০(৩১) দুর্দান্ত রান আউটে ফেরান মেহেদী মিরাজ।এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। বেন ডাকেট, মইন আলী, সাম কারানরা সবাই হন এদিন ব্যর্থ।বাংলাদেশি বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৪২ রান তুলতে পারে ইংল্যান্ড। আর তাতেই ১৬ রানের জয় নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটশ করলো বাংলাদেশ।টাইগারদের পক্ষে তাসকিন আহমেদ দুটি উইকেট লাভ করেন।এর আগে মিরপুরে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। এই সিরিজে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়া লিটন এদিন রানে ফিরেছেন।
টাইগারদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৫ রান।আাদিল রশিদের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে কট এন্ড বোল্ড হন রনি তালুকদার ২৪(২২)।আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা শান্ত এই ম্যাচেও তার ছন্দ ধরে রেখেছেন।তিনে নেমে লিটনের সঙ্গে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। ১০ চার আর এক ছয়ে ব্যক্তিগত ৭৩ রানে আউট হন লিটন।অধিনায়ক সাকিব ও শান্ত শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকলেও শেষের দিকে বেশি রান তুলতে পারেননি।শেষ পাঁচ ওভারে টাইগাররা নিতে পেরেছে মোটে ২৭ রান।শান্ত ৪৬ ও সাকিব চার রানে অপরাজিত থাকেন।সবমিলিয়ে ২০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১৫৮ রান।ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ ও ক্রিস জর্দান একটি করে উইকেট লাভ করেন।