আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর মাঠে গড়াতে আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের আইকনিক নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের।
এবারের ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বমঞ্চে অংশ নিচ্ছে ১০টি দল। যেখানে এশিয়া থেকে সর্বোচ্চ পাঁচটি দেশ অংশ নিচ্ছে। ওশেনিয়া ও ইউরোপ থেকে খেলবে দুটি করে দেশ। বাকি একটি দেশ খেলবে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে।
গত আসরের মতো এই বিশ্বকাপেও রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবিলা করবে। অর্থাৎ প্রত্যেক টিম ৯টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। লিগ পর্বে ৪৫টি ম্যাচসহ ৪৬ দিনে মোট ৪৮টি ম্যাচ হবে এবারের আসরে। সেখানে থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী ৪ দল সেমিতে জায়গা করে নেবে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে এবার একাধিক নতুন নিয়ম চালু করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। ইতোমধ্যেই এ নিয়ে একাধিক গাইডলাইনও দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা।
মাঠের বাউন্ডারি ৭০ মিটারের ছোট করা যাবে না। এ ছাড়া অধিক ঘাস থাকতে হবে পিচে। মূলত শিশিরের কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আর কিউরেটরদেরও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল সুপার ওভারে টাই হয় ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ। এরপর বিজয়ী ঘোষণা করা হয় বেশি চার-ছক্কা মারা ইংল্যান্ডকে। এ নিয়ে নানান তর্ক-বিতর্কও চলে। নানান সমালোচনার পর ওই নিয়মে বদল এনেছে আইসিসি। তাই এবার ক্রিকেট মহাযজ্ঞে কোনো ম্যাচ টাই হলে বেশি চার-ছক্কা হাঁকানো দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে না। দুই দলকে একটানা-ই খেলতে হবে সুপার ওভার। শেষ পর্যন্ত যারা জয়ী হবে, তাদেরই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।
এবারের বৈশ্বিক আসরে ‘মানকাড’ পদ্ধতিতে ব্যাটারকে আউট করা যাবে। যদিও অতীতে আইসিসির কোনো মেগা ইভেন্টে এই নিয়মের দেখা মেলেনি।
প্রতিটি সেশনের জন্য বরাদ্দ থাকবে ৩ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। মাঝে বিরতি থাকবে ৪৫ মিনিট। আর টসের ঠিক আগমুহূর্তে অধিনায়করা সেরা একাদশ প্রকাশ করতে পারবেন।
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে (ডিএলএস) ফল নির্ধারিত হবে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের। তবে উভয় দল কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেললে এই পদ্ধতিতে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে। আর এর কম খেলা হলে দুই দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ম্যাচটি বাতিল বা পরিত্যক্ত বলেও গণ্য হবে।
সেমিফাইনালের জন্যও রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। ফাইনালেও এই ব্যবস্থা থাকছে। নির্ধারিত দিনে খেলা হলে পরের দিন হবে ম্যাচ। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম দিন যেখান থেকে শেষ হবে, পরের দিন সেখান থেকে শুরু হবে।