অস্ট্রেলিয়া-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ফেবারিট থাকবে সেটিই স্বাভাবিক। তবে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ডাচদেরকে যেভাবে নাস্তানাবুদ করেছে অস্ট্রেলিয়া, তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। ওয়ার্নারের শতরান ও ম্যাক্সওয়েলের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে নেদারল্যান্ডসের সামনে ৪০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করায় অজিরা। জবাবে মাত্র ৯০ রানেই গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।
৪০০ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৮ রান তুলতে পারে দুই ডাচ ওপেনার। এরপর থেকে শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের কারসাজি। যার শুরটা করেন মিচেল স্টার্ক। ম্যাক্স ওডোডকে সরাসরি বোল্ড আউট করেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করা ভিক্রমজিৎকে দলীয় ৩৭ রানে ফিরতে হয় রান আউটের শিকার হয়ে। এরপর ডাচদের কোনো ব্যাটার ক্রিজে দাড়াতেই পারেনি। একরম্যান(১০), এওয়ার্ডস(১২), নিদামানুরু(১৪) রান করলেও তা দলীয়ভাবে ১০০ ছাড়াতে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত ২১ ওভারে ৯০ রানে থামে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। আর তাতেই ডাচদের বিপক্ষে ৩০৯ রানের বিশাল জয় পেল অস্ট্রেলিয়া।
অজিদের হয়ে অ্যাডাম জাম্পা সর্বোচ্চ চারটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দলীয় ২৮ রানে মিচেল মার্শ(৯) কে হারায় অস্ট্রেলিয়া। তবে এরপর ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ মিলে গড়েন ১৩২ রানের জোট। ৯ চার ও এক ছয়ে ব্যক্তিগত ৭১ রানে স্মিথ ফিরলেও সেঞ্চুরির দেখা পান ওয়ার্নার। ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৩ বলে ১০৪ রান করেন তিনি। এ নিয়ে বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক শতরানের দেখা পেলেন তিনি। মার্কস লাবুশেনের ব্যাটে আসে ৬২ রান। তবে শেষের দিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ডাচ বোলারদেরকে রীতিমতো ছাতুপেটা করেন। ৯ চার ও ৮ ছয়ে ৪০ বলে পূর্ণ করেন শতরান যা বিশ্ব আসরে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ১০৬ রানে আউট হন তিনি। আর অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ৩৯৯ রান।
নেদারল্যান্ডসের ভ্যান বিক পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট লাভ করেন।