বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এখন নানান সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে। যদিও দুই দলের লক্ষ্য ভিন্ন ভিন্ন।
পাকিস্তানের লক্ষ্য যেখানে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলার সেখানে বাংলাদেশের স্বপ্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পাওয়ার।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেটের জয়ে কঠিন সমীকরণের সামনে পাকিস্তান। কঠিন বললেও ভুল হয়। বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগে অসম্ভব এক সমীকরণ পেয়েছেন বাবর আজম–মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিউজিল্যান্ডের। কিউইদের রানরেট এখন +০.৭৪৩।
উইলিয়ামসনদের এই রানরেটই পাকিস্তানের সেমির সম্ভাবনাকে এক কথায় অসম্ভব করে তুলেছে। ইডেন গার্ডেনসে প্রথমে ব্যাট করলে পাকিস্তানকে অন্তত ৩০০ রানের ব্যবধানে জিততে হবে। আর ইংল্যান্ড যদি আগে ব্যাট করে ১৫০ রানেও অলআউট হয় সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে সেই রান তাড়া করতে হবে ৩.৪ ওভারে! অর্থাৎ, তখন প্রতি বলে ছক্কা মারলেও পাকিস্তানের জেতার সুযোগ নেই বললেই চলে! তাই কাগজে কলমে সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড!
বড় ব্যবধানে জিতে নিউজিল্যান্ড আবার সুবিধা করে দিয়েছে বাংলাদেশের। ১৭১ রানে অলআউট হয়ে ১৬০ বল আগে হারায় শ্রীলঙ্কার রানরেট এখন-১.৪১৯। এমন বড় হারে লঙ্কানদের ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলার স্বপ্নে পরে গেছে বড় এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন। আগামীকাল অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে সংশয় থাকবে না বাংলাদেশের। আর হারলেও ব্যবধানটা ভদ্রস্থ রাখতে পারলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের।
সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া যদি আগে ব্যাট করে ৩৬০ রান তোলে তখন বাংলাদেশকে অন্তত ২০০ রান করে হারতে হবে। আর আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২০০ রান করতে পারলে অস্ট্রেলিয়াকে সেই রান ২৩ ওভারের আগেই তাড়া করতে দেওয়া যাবে না। তবে নেদারল্যান্ডস যদি ভারতকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়ে দেয় তখন আবার অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে সাকিবদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার আশা। এ জন্য ডাচদেরও পরাজয় কামনা করতে হবে বাংলাদেশকে।