এমএসএন, ফুটবল বিশ্বের সেরা ত্রয়ীর মধ্যে অন্যতম। শেষবার বার্সেলোনা যখন চ্যাম্পিয়নস লীগ জয় করে, এই ত্রয়ীর হাত ধরেই জয় করে। মেসি নেইমার সুয়ারেজরা সারাবিশ্বে ছিলেন আতঙ্কের নাম। এই ত্রয়ীর সময়ও সারাবিশ্বে দাপট দেখায় বার্সেলোনা।তবে এই ত্রয়ী ভাঙার পরই যেন বদলে যেতে থাকে বার্সেলোনা।
শুধু বার্সেলোনার জন্যই নয়, নিজেদের জীবনের সেরা সময়টাও এই ত্রয়ীর সেরা সময়টা কেটেছে এই ক্লাবে। লিওনেল মেসি এই ক্লাবে দেড় যুগ খেলেছেন, দীর্ঘদিন এই ক্লাবে খেলে সুয়ারেজ গিয়েছেন ব্রাজিলের ক্লাবে। মাঝে রেকর্ড ট্রান্সফারে নেইমার পিএসজিতে যান, তবে সেখানে নিজের ক্যারিয়ারের ডাউনফলই দেখেছেন শুধু এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
তাই আবারো নিজদের পুরাতন দিনের স্মৃতি রোমান্থন নেইমার সুয়ারেজদের। ক্লাব ছাড়লেও এই তিনজনের মধ্যে বন্ধুত্ব থেকেছে আগের মতনই। ক্লাব ছাড়ার পরও মেসি নেইমারের সাথে তার জন্য গিয়েছেন পিএসজিতে। এরপর মেসির ডাকেই আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন লুইস সুয়ারেজ। এছাড়া খেলার মাঠ বা মাঠের বাইরে এই তিনজনের বন্ধুত্ব আছে আগের মতই। সেই বন্ধুত্ব ও বার্সেলোনার স্মৃতি স্মরণ করেন এই তিনজন।
১ দিন আগে বার্সেলোনা থেকে পোষ্ট করা হয় লুইস সুয়ারেজের কীর্তি নিয়ে। ২০১৬ সালের দেপোর্তিভির বিপক্ষে এক ম্যাচে ৪ গোল ও ৩ এসিস্ট তুলে নেন লুইস সুয়ারেজ। এক ম্যাচে ৭ গোলে অবদান রেখে করেন রেকর্ড। নিজেদের এমন এক কীর্তির আট বছর পুর্তিতে ক্লাবের সাবেক লিজেন্ড সুয়ারেজকে ট্যাগ করে পোষ্ট করে বার্সেলোনা।
বার্সার করা সেই পোষ্টই শেয়ার দেন লুইস।তবে এর সাথে ট্যাগ দেন নিজের দুই বন্ধু লিওনেল মেসি এবং নেইমার জুনিয়ারকে। নিজের স্টোরিতে সেই পোষ্ট শেয়ার করে সুয়ারেজ লেখেন “ আমাদের রেকর্ড “। অর্থ্যাৎ নিজেদের একসাথে কাটানোর সময়ের রেকর্ডের কথাটা বলেন তিনি।
সুয়ারেজের দেওয়া স্টোরি আবার নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করেন নেইমার জুনিয়ার। সেখানে তিনি পুরাতন সময়ের স্মৃতি দেখে সেই সময়ের কথা স্মরণ করেন। সেখানে স্প্যানিশ এক ক্যাপশন দেন নেইমার জুনিয়ার। যার বাংলা করলে অর্থ্য দ্বারায় “ সবচেয়ে ভালো বিষয় এটিই যে তখন আমরা সবাই সুখে ছিলাম”
অর্থ্যাৎ বার্সেলোনা থাকাকালীন তিনজনই যে নিজেদের সেরা আনন্দে ছিলেন সেটাই মনে করালেন নেইমি। বার্সা ছাড়ার পর প্রফেশনালিজমের কারণে হয়ত নিজেদের মাঠে সেরাটা দিয়ে গেছেন নেইমার মেসিরা, তবে নিজেদের সেরা সময়টা বা সবচেয়ে আনন্দের সময়টাকে তখন পিছনেই ফেলে রেখেছেন এই তিনজন