খেলা তখন মোটে শুরু রেফারি খেলা শুরুর বাশি দিয়ে বোধহয় মুখ থেকে বাশিও সড়ায়নি,অথচ সেই ৩৭ সেকেন্ডের মধ্যেই মেসিরা খেলেন গোল! মাঠর্তী দর্শক,আর প্রতিপক্ষ কোচের আগের দিনের দাম্ভিকতা ভরা কনফারেন্স হয়তো তখন সবার কানে বাজছিলো। তবে প্রথম মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর সমতায় ফিরতে ৩২ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় মায়ামিকে। রবার্ট টেইলরের বাড়ানো বল থেকে ডি-বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদ করেন লিওনেল মেসি।
এরপর ৬৮তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক। সের্জিও বুসকেতসের অসাধারণ থ্রু বল ধরে ডি-বক্স থেকে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। এ নিয়ে এমএলএসে সাত ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত নয়টি গোল করলেন মেসি। সাত ম্যাচের তিনটিতেই করলেন জোড়া গোল। তাতে রিয়েল সল্ট লেকের কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ান আরাঙ্গোকে ছাড়িয়ে গোলদাতার তালিকার শীর্ষে উঠলেন মেসি। আরাঙ্গো করেছেন ১০ ম্যাচে ৮টি গোল।
৮৩তম মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করেন ক্রেমাস্কি। দাভিদ রুইজের কাটব্যাক থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন মেসি। তবে নিউ ইংল্যান্ড অধিনায়ক ঝাঁপিয়ে ঠেকালে আলগা বল পেয়ে যান ক্রেমাস্কি। লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল হয়নি তার। এর ছয় মিনিট পর মেসির পাস থেকে দুর্দান্ত এক শট বল জালে পাঠান সুয়ারেজ। এই ম্যাচে জোড়া গোল করার মধ্যে দিয়ে একটি রেকর্ড গড়লেন মেসি।
মার্কিন সকার লিগে এখন পর্যন্ত মেসিই প্রথম ফুটবলার যিনি এক মৌসুমে পাঁচটি পৃথক ম্যাচে একাধিক গোলের দেখা পেয়েছেন। এছাড়া মৌসুমের প্রথম সাত ম্যাচ থেকে ১৬টি গোল-এসিস্ট করেও রেকর্ড গড়েছেন তিনি। যা উক্ত লিগে এখন পর্যন্ত কোনো ফুটবলার পারেননি।অবশ্য কেও যা পারেননি তাই মেসি করবেন সেটিইতো স্বাভাবিক, আর দলকে দিলেন ৪-১ গোলের জয়। এই জয়ে শীর্ষে থাকা মায়ামির পয়েন্ট হলো ১১ ম্যাচে ২১। যেখানে ৬টি জয়ের সঙ্গে রয়েছে ৩টি ড্র। ইস্টার্ন কনফারেন্স তো বটেই দুই কনফারেন্স মিলিয়েও শীর্ষে রয়েছে মেসির দল। সমান ১১ ম্যাচ সমান ২১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সি। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে আছে মেসির দল।