বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং আর স্পিন বিভাগ যেমনই হোক, পেস ইউনিট নিয়ে এখন নেই তেমন সমস্যা। একটা সময় যেই বিভাগে সবচেয়ে পিছিয়ে ছিলো লাল সবুজের প্রতিনিধিরা; এখন সেই পেস ইউনিট নিয়েই গর্ব করা যায়। টি টোয়েন্টি হোক আর টেস্ট, সব ফরম্যাটেই এখন আস্থার নাম পেসাররা।সামনের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও নয় এর ব্যাতিক্রম। বলা চলে অন্যদল গুলো থেকে কোনো অংশে কম শক্তিশালী বোলিং ইউনিট নিয়ে হাজির হবে না টিম টাইগার্স। আর সেই পেস ইউনিটের মূল ভরসার তিন জন হলো তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন!
বর্তমানে টি টোয়েন্টি তে দারুন ছন্দে আছেন কাঁটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তাই তাকে নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে না আলাদা ভাবে। ফিজকে ছাড়াও, বাকি এই তিন পেসার থাকবেন বিশ্বকাপের স্কোয়াডে। সেক্ষেত্রে বড় ভুমিকা রাখতে হবে তরুন শরিফুল ইসলাম কে। সাম্প্রতিক সময়ে টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল হোক আর ফ্যাঞ্চাইজি লীগ, সব যায়গায় শরিফুল অসাধারণ পার্ফম করছেন। বিশেষ করে পাওয়ার-প্লেতে প্রায় প্রতি ম্যাচেই উইকেট এনে দিয়ে ভালো শুরু এনে দিচ্ছেন। চলমান বছরের পরিসংখ্যান বলছে টি টোয়েন্টি তে ১২ ইনিংস বল করে আটের কম রান খরচ করে নিয়েছেন ২২ টি উইকেট।
এছাড়া, আরেক পেসার তাসকিন আহমেদও বাংলাদেশ দলের এখন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। পাশাপাশি ক্রিকেট বিশ্বে বর্তমান সময়ে সেরা কয়েকজন পেসারের একজন তিনি। গতির সঙ্গে সুয়িংয়ে পরাস্থ করতে পারেন ঢাকা এক্সপ্রেস। তাছাড়া, সর্বশেষ দুই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা পার্ফমমারও তাসকিন। তাই ২০২৪ বিশ্বকাপেও তার দিকে আলাদা নজর রাখবে সবাই। ব্যাটারদেরও বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে টাইগার পেসারের বিপক্ষে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর ইনজুরি মুক্ত হয়ে বিপিএলে অসাধারণ পার্ফমম্যান্স করেছিলেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বল হাতে অসাধারণ বল করেছিলেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। তার নৈপুণ্যে শিরোপা জিতে বরিশাল। তাই এবার দেশের জার্সীতেও প্রমান করার সুযোগ তার জন্য।
তাই সব মিলিয়ে বলা চলে এই তিন পেসার বিশ্বকাপে একসাথে পার্ফম করলে, যেকোনো দলের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে বাংলাদেশ। তাই তাদের তিন জনকে বলা চলে সেরা পেস এটাকও।