দুবাইয়ের পিচ সাধারণত স্পিনারদের সহায়তা করে,ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলতে নামবে বাংলাদেশ দুবাইয়ের কন্ডিশনে। যেখানে সচরাচর স্পিনকে প্রাধান্য দেয়া হয়। বাংলাদেশ সচরাচর ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। তবে খেলাটা যেহেতু দুবাই তে সেহেতু উপরের দিক থেকে একজন ব্যাটসম্যান কে সেক্রিফাইস করতেই হতে পারে। সেক্ষেত্রে নাসুম আহমেদ কে ট্রাই করতে পারে ম্যানেজমেন্ট। উপরের দিক থেকে চিন্তা করলে ওপেন করবেন তানজিদ তামিম এবং সৌম্য সরকার। ওয়ান ডাউনে নাজমুল শান্ত, চারে মুশফিকুর রহিম। পাচ নম্বরে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
এর পর মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭ নম্বর পজিশনে জাকের আলী অনিক অথবা তাওহীদ হৃদয়কে বেছে নিতে হতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট এর। কারণ একজন বাড়তি স্পিনার খেলাতে হলে এই জায়গাটা সেক্রিফাইস করতে হবে। তবে এর সবটাই নির্ভর করছে দুবাইয়ের কন্ডিশনের উপরে।
৮ নম্বরে স্পিন অপশন হিসেবে নাসুম আহমেদকে বেছে নিতে হতে পারে। এরপর ধারাবাহিকভাবে তিন পেসার।একটা স্পিন অপশন না বাড়ালে ভালো রকম বিপদে পড়তে পারে বাংলাদেশ। ভারতের স্পিন অ্যাটাক খুবই শক্তিশালী। বাংলাদেশ শুধুমাত্র মেহেদী মিরাজ এর উপর নির্ভর করলেই হবে না। না চাইতেও একটা স্পিন অপশন বাড়াতে হবে এই কন্ডিশনে। এর জন্যই উপরের দিক থেকে যেকোন একজন ব্যাটার কে সেক্রিফাইস করতে হবে। হৃদয় এবং জাকের দুনোজনই কে ক্যাপাবল। জাকের আলী অনিকের ওডিআই এভারেজ ও দারুণ। এখন দেখার পালা ম্যানেজমেন্ট কি করেন? চিরাচরিত ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলে নাকি একটা স্পিন অপশন বাড়াবে সেটা ভেবে দেখতে হবে। কন্ডিশন অনুযায়ী চিন্তা করলে একজন স্পিন অপশন বাড়াতেই হবে। ভারতের সাথে প্রথম ম্যাচে জয় পেলে টুর্নামেন্টের টিকে থাকা সহজ হবে বাংলাদেশের জন্য। এজন্য প্রথম ম্যাচেই সেড়া একাদশ নিয়েই মাঠে নামতে চাইবে বাংলাদেশ। ভারত শক্ত প্রতিপক্ষ হলেও বাংলাদেশ ভারতকে হারানোর সক্ষমতা রাখে। নিজেদের দিনে বাংলাদেশ ও হতে পারে ভয়ঙ্কর।
দুবাইয়ের মাটিতেই বাংলাদেশের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট সারতে হবে ইন্ডিয়ার বিপক্ষে। তাই সব ধরনের চিন্তা মাথায় রেখেই একাদশ সাজাবে বাংলাদেশ দল।