বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার লড়াই সম্পর্কে বিশ্ববাসী জেনে গেছে। পাকিস্তানের থেকেও বড় ক্লাশ হয় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের। ভারতের গণমাধ্যমগুলোও তা ফলাও করে প্রচার করছে। অবশ্য যে মিথ্যা বলছে তেমনটাও না। জয়পরাজয়ের হিসেবে ভারত বাংলার লড়াই হবে। তবে এখানে সতর্ক থাকতে হবে তুলনামূলক ছোট দল বাংলাদেশকে। শক্তির বিবেচনায় বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে এই পিছিয়ে থেকেও এগিয়ে থাকা যাবে যদি মাঠের বাইরের বিষয় গুলোতে বাংলাদেশ সতর্ক থাকে। মাঠের মধ্যেও ক্রিকেটারদের বাগ বিতন্ডায় জড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। যার দুটি উদাহরণ দেয়া যায়।
গত বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান ভারত সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বেশ সতর্কতার সহীত বড় দল বলে সমীহ করেছেন। সেবার সাকিবের কথা নিয়ে বেশ প্রশংসাও হয়েছে। কিন্তু প্রশংসা হয়নি অনেকটা সমালোচনায় পরেছিলেন তানজিম সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলিকে আউট করে তেড়ে গিয়ে ছিলেন এই পেসার। আর এ নিয়ে বেশ জোরেসোরে সমালোচনা হয়েছিলো। ঠিক এই বিষয় গুলোতে বাংলাদেশকে আলাদা গুরুত্ব দিতে হবে। নিজেদেরকে সরিয়ে রাখতে হবে সমালোচনা কিংবা কন্ট্রোভার্সি থেকে। চুপিসারে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা
খেলতে পারলে ভালো ফলাফল করা সম্ভব।
ভারত বাংলাদেশ ম্যাচে টাইগারদের প্রাপ্তির অনেক কিছু থাকলেও হারানোর কিছুই নেই। সরগরম করে তাই পরিস্থিতি প্রতিকূল করার কিছুই নেই চুপিসারে নিজেদের ক্রিকেট খেলতে পারলে এই টুর্নামেন্ট থেকে ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব। প্রথম ম্যাচ যেহেতু ভারতের বিপক্ষে সেহেতু বাংলাদেশের বাড়তি সমর্থন মিলবে মাঠ থেকে। এক কথায় যা যা দরকার তার সবটাই আছে বাংলাদেশের এখন শুধু ধৈর্য ধরে চেষ্টা করলেই হবে।
শুরুটা ভালো হলে আসরের বাকি ম্যাচ গুলোতেও ভালো করা সম্ভব। জয়পরাজয়ের থেকেও বড় বিষয় হয়ে দাড়াবে বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার ম্যাচে টাইগারদের এ্যাপ্রোচ কেমন হবে সেটি। এ্যাপ্রোচ যদি ভালো হয় তাহলে টাইগাররা পরের ম্যাচেও ভালো করতে পারবেন। আর যদি ভালো না হয় সেক্ষেত্রে তাদের জন্য আরও কঠিন মুহুর্ত অপেক্ষা করছে। তবে বাংলাদেশ দল চাইবে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে এজন্য অবশ্য ফিয়ারলেস ক্রিকেটের বিকল্প নেই। একই সঙ্গে মাথা ঠান্ডা রেখে ক্রিকেট খেলার কথাও ভাববে শান্তর দল। দেখা যাক কোন পরিকল্পনায় হাটে বাংলাদেশ।