বিশ্ব ক্রিকেটে আইপিএল বা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। সাধারণ ফ্রাঞ্চাইজী আসর নয়, আইপিএল বিবেচিত হয় ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম সেরা আসর হিসেবেও। যে কারণে এই সময়ে সিরিজ আয়োজন করেনা অনেক দল। সিরিজ আয়োজন করলেও আইপিএলে থাকা খেলোয়াড়দের ছাড়াই মাঠে নামে অনেক দেশ। আইপিএল যেন নিজেকে নিয়ে গেছে অন্য মাত্রায়।
তবে সেখানে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের হাহাকার। এমনিতেই তেমন কোন বাংলাদেশী ক্রিকেটার এই আসরে সুযোগ পাননা। তবে নিলাম থেকে মাঝে মাঝে ডাক পান অনেকে। তাদেরকেও পড়তে হয় বিসিবির বেড়াজালে, ফলে অনেকক্ষেত্রেই গুটিয়ে নিতে হয় নিজেকে। অনেকেরই খেলা হয়না আইপিএল। আগে এইসব করে অবশ্য নিজেদের সম্মান খর্ব করেছে বাংলাদেশ, তবে এবার তো আইপিএল থেকেই হতে পারে নিষিদ্ধ।
অন্তত হ্যারি ব্রুকের ঘটনা সেইদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ২০২৫ সালের আইপিএলের জন্য তাকে নিজেদের দলভুক্ত করে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই আসরে দিল্লির হয়ে মাঠ মাতানোর কথা ছিল এই ইংলিশ তারকার। তবে জাতীয় দলের কমিটমেন্টের জন্য সেটাকে ফিরিয়ে দেন ব্রুক। শেষ মুহুর্তে আইপিএল থেকে নিজের নাম করেন প্রত্যাহার।
আর তাতেই শাস্তির মুখে পড়েন ব্রুক। আইপিএলের নিয়ম অনুসারে কোন খেলোয়াড় নিলামের আগে যদি নিজেকে আইপিএলের জন্য বিবেচিত দেখান এবং নিলামের পর আইপিএল শুরুর আগে যদি সে নিজেকে সরিয়ে নেন তবে তাকে ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে আইপিএল থেকে। আর সেই সিদ্ধান্তের জন্য আগামী দুই আসর ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগে দেখা যাবে ব্রুককে।
তবে ব্রুকের চেয়েও এমন কিছুতে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ক্ষতির সম্মুক্ষীন হবেন। অতীতে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য খেলোয়াড়দের অনুমতিপত্র না দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর সেখানে লিটন, সাকিব, মুস্তাফিজদের দলে নিয়েও ব্যাবহার করতে পারেনি ফ্রাঞ্চাইজী গুলো। এর আগে তাসকিন, শরীফুলদের চাইলেও বিসিবি থেকে মেলেনি অনাপত্তি পত্র।
সব মিলিয়ে এই আসরে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের চাহিদা তাই কমেছে, কমেছে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা। তবে কাগজে কলমে সে সম্ভাবনা এখনও আছে। যদি আগামী দিনে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটুট থাকে বিসিবি, আইপিএলের সময় অগুরুত্বপূর্ণ সিরিজেও খেলোয়াড়দের নিজেদের ডেরায় রাখে, তবে এই নিষেধাজ্ঞা বড় আকারে আসতে পারে যে বাংলাদেশের দিকেও, তাতে নেই সন্দেহ।