বেনফিকা থেকে রেকর্ড পরিমাণ অর্থে যোগ দেন চেলসিতে। চেলসিত এসে তাকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল। তবে শুরুর দিকে সে প্রত্যাশা পুরোপুরি পুরণ করতে পারেননি। এই মৌসুমে নতুন কোচের অধীনে তাই তার দলে থাকা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। তবে সব প্রশ্ন ও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন এঞ্জো ফার্নান্দেজ। বরং এই মৌসুমে পারফর্ম করে ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। এঞ্জোর এমন পারফর্মেঞ্চের পর তার দিকে পাখির চোখ দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ
নতুন রোলে তাই এঞ্জোর দিকে চোখ রিয়াল মাদ্রিদের। বিশেষ করে গত মৌসুম শেষে অবসর নিয়েছেন দলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার টনি ক্রুস। এই মৌসুম শেষে অবসর নিতে পারেন আরেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় লুকা মদ্রিচ। ৪০ এ পা দেয়া মদ্রিচ অবসর নিলে মাদ্রিদের মিডফিল্ডে একটা শুন্যতাই দেখা যাবে।
বিশেষ করে ক্রিয়েটিভিটিতে মদ্রিচের পর সেভাবে কেউ নেই মাদ্রিদ দলে৷ বেলিংহাম এই জায়গায় কিছু অবদান রাখলেও তাকে স্কোর করার দিকেই বেশি মনযোগ দিতে হয়। আর সেখানে এঞ্জোকে নিতে আগ্রহী লস ব্লাঙ্কোসরা। এর মাঝে ডি স্পোর্টস ও দ্যা সানের মত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে এঞ্জোকে নিতে আগ্রহী রিয়াল মাদ্রিদ।
সেখানে এঞ্জোকে খুব উচু দর করছে স্প্যানিশ এই ক্লাবটি। এঞ্জোকে পেতে শুধুমাত্র টাকার নয়, সাথে সোয়াব ডিল বা আদান প্রদানও করতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। এর মাঝে এঞ্জোর জন্য তারা একদিকে যেমন ৮৬ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ১১০০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিতে পারে, আবার অন্যদিকে এঞ্জোর সাথে চেলসিকে দিতে পারে আরলন শুয়েমিনিকে।
এর আগে রিয়াল মাদ্রিদে এসে নিয়মিত হয়েছিল শুয়েমিনি। তবে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার অধিকাংশ ম্যাচ খেলেন সেন্টার ব্যাক হিসেবে। সেখানে নিজের রোলে অনেকটা সন্তষ্ট নন শুয়েমিনি। অপরদিকে মিডফিল্ডে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে ভালভার্দে, কামাভিঙ্গারা আছেন। সেখানে তাই শুয়েমিনির জায়গাটা অনেকটা দুর্বল। তাই তার বদলে এঞ্জো ফার্নান্দেজ এর দিকে হাত বাড়িয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে এবার দেখা যাক, ক্লাব ছাড়ে কিনা এঞ্জো ফার্নান্দেজ। তবে যদি শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন দল রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয় এঞ্জো, তবে সেটা এঞ্জো ও রিয়াল মাদ্রিদ দুই পক্ষের জন্যই হবে লাভজনক।