নুরুল হাসান সোহান বাংলাদেশ ক্রিকেটে যার তিন ফরম্যাটেই ডেবু হয়েছিল।কিন্তু নিজের সামর্থের পূর্ণ ঝলক দেখাতে না পাড়ায়। জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এখন আর কোন ফরমেটেই তাকে দেখা যায় না। তবে তিনি একজন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে খুবই দক্ষ।বিশেষ করে উইকেট কিপিং দিয়ে তিনি আলাদা ভাবের নজর কারেন। তবে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ার জন্য নিজেকে একটু আনলাকি ভাবতেই পারেন সোহান। টিম কম্বিনেশনও ছিল একটা ফ্যাক্ট।
চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বেশ ভালোই করে যাচ্ছেন তিনি। শাইন পুকুরের বিপক্ষে করেছেন দারুন এক সেঞ্চুরি। ১৩১ বলে খেলেছেন ১৩২ রানের দারুণ এক ইনিংস। স্ট্রাইকরেট ১০০!
১৩ টি চার আর চারটি ছক্কা দিয়ে সাজানো এই ইনিংস! মুশফিক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিদায়ের পরে নুরুল হাসান সোহানকে কি বিবেচনা করবে সিলেক্টররা? পর্যাপ্ত সুযোগ আর প্রতিভার ঝলক দেখাতে পারলে মিডল অর্ডারে থিতু হতে পারেন সোহান।তবে জাতীয় দলে ফিরতে হলে শুধু একটি ভালো ইনিংসই যথেষ্ট নয়। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে হবে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ম্যাচের চাপ সামলানোর সামর্থ্য দেখাতে হবে। ঘরোয়া লিগে দারুণ পারফরম্যান্স করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে হলে বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে সোহানকে।
মুশফিকুর রহিম দীর্ঘদিন ধরে মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসা ছিলেন, যার ব্যাটিং অভিজ্ঞতা দলকে বহু ম্যাচে জয় এনে দিয়েছে।
সোহানের সামনে সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে যদি তিনি তার ব্যাটিংয়ে আরও ধারাবাহিকতা আনতে
পারেন।তবে অবশ্যই সোহানকে বিবেচনা করবে বোর্ড।বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে একজন নির্ভরযোগ্য উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন।
অভিজ্ঞদের বিদায়ের পর সেই জায়গা পূরণ করতে হলে, নুরুল হাসান সোহানকে শুধু প্রতিভার ঝলক নয়, ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে নির্বাচকদের মন জয় করতে হবে। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে চাইলে তাকে বিবেচনা করতে পারে। সেই সামর্থ্য সোহানের আছে।তবে ধারাবাহিকতার কোন বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে হবে। দেখার অপেক্ষায় সিলেক্টররা তাকে সেই সুযোগটা করে দেয় কিনা?