নাসির হোসেন ২০২১ সালে আবুধাবি টি টেন লিগে অংশগ্রহণ করতে যায় । সেখানে গিয়ে আইফোন উপহার পান তিনি।সেই তথ্য গোপন করার কারনে।
আইসিসি তাকে ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে যাচ্ছে আগামী ৭ এপ্রিল। এমন কর্মকান্ড নাসির হোসেনের ক্যারিয়ারে অনেকবার প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশি স্পিন অলরাউন্ডারদের মধ্যে নাসির হোসেনের প্রতিভা নিয়ে কারো মধ্যে কোনো সংসয় ছিলোনা।
বোলিং ব্যাটিং ফিল্ডিং তিন ডিপার্টমেন্টেই ছিলো সেড়া। কিন্তুু নানা কর্মকাণ্ড আর বিতর্ক ছিলো তার নামের পাশে। যার জন্য পারফরম্যান্স এ প্রভাব পরতে থাকে। একটা পর্যায় এসে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পরে। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটেও অনিয়মিত হয়ে পরেন তিনি। সবশেষ বিপিএল এ ঢাকার হয়ে খেলেছিলেন ২০২৩ সালে।
এর ই মধ্যে আইসিসির এমন নিষেধাজ্ঞায় পরে। কাম ব্যাক করা হলো না তার। শোনা যাচ্ছে নিষেধাজ্ঞার শেষে
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনির হয়ে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। আবাহনীর কোচ হান্নান সরকার জানিয়েছেন ইতিমধ্যে নাসিরের সাথে তার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষের পর পরই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। নাসির ইতিমধ্যে অনুশীলন শুরু করেছেন।নিজেকে ফিট রাখতেই এমন উদ্যোগ। যাতে নিষেধাজ্ঞার শেষ হওয়ার পর পরই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন তিনি।
তবে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়লেও নিজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে আবারও জায়গা করে নিতে চান তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ফেরার সম্ভাবনা তার নতুন শুরুর বার্তা দিচ্ছে।তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো বাকি। সবকিছুই নির্ভর করছে নিষেধাজ্ঞা শেষে তার পারফরম্যান্স ও দলগুলোর চাহিদার ওপর। দীর্ঘদিন পর ক্রিকেটে ফেরার এই লড়াইয়ে নাসির কতটা সফল হবেন, তা সময়ই বলে দেবে।
কিন্তু একসময় যে প্রতিভাবান অলরাউন্ডার ছিলেন, সেই জায়গায় ফিরে আসতে হলে তাকে কঠোর পরিশ্রম আর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়েই নিজেকে আবার প্রমাণ করতে হবে। জাতীয় দলে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। যদি আবার জাতীয় দলে ফিরতে হয় ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করেই ফিরতে হবে। এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে কেমন করে সেটাই দেখার বিষয়।