বোলিং নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। আইসিসি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে সাকিবকে। তৃতীয় দফায় পরিক্ষা দিয়ে পাশ করেছেন সাকিব। এখন আর কোনো বাধাই নেই বোলিং করতে। বাংলাদেশ দলের হয়েও বোলিং করতে পারবেন আগের মতো। ফ্রাঞ্চাইজ ক্রিকেটে তো পারবেনই। কাউন্টি খেলতে গিয়ে যে সমস্যায় পরেছিলেন তা থেকে অবশেষে মুক্তি মিলেছে সাকিবের। আর এতে সাকিব ভক্তদের সুখবর বয়ে নিয়ে আসছে বললে ভুল হবে না। বহুল প্রতিক্ষীত এক জয় জিতলেন সাকিব আল হাসান। ফিরলেন অবশেষে ৭০০ উইকেট শিকার করা একজন বোলার।
২০ মার্চ তামিম ইকবালের জন্ম দিন হলেও, ২০২৫ সালের ২০ মার্চ সেসবের চেয়েও বড় খবর বোধহয় সাকিব আল হাসানের ফিরে আসা। বোলিং করতে পারার স্বস্থি, বল হাতে আবারও মাঠে ফেরার সুযোগ। ফ্রাঞ্চাইজ ক্রিকেটের সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফেরার স্বস্থি। তবে প্রশ্ন সাকিব কি ফিরবেন? কিংবা সাকিবকে কি ফেরানো হবে? উত্তরটা সময়ের জন্য তোলা থাকলো।
মাহমুদউল্লাহ মুশফিকরা অবসর নিলেও সাকিব নেননি, কারন অনেকেই খুজেছে তবে আসল কারন হতে পারে এটা যে, সাকিব জানতেন তিনি ফিরে আসতে পারবেন যার জন্য নিষিদ্ধ থেকে অবসর নেননি আল হাসান। তবে যে বোলিং সাকিবকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে দেয়নি সেই বোলিং ই কি সাকিবকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাবে? উত্তরটা কারো জানা নেই তবে প্রশ্নটা আসতেই পারে। প্রধান নির্বাচকের করা মন্তব্য থেকে প্রশ্ন আসছে। উত্তরটাও বোধহয় আসবে।
তবে সাকিবের বোলিং এ্যাকশন ঠিক হবে নাকি হবে না এমন কোনো আলোচনা কোথাও হয়নি। সবাই কেবল সম্ভাবনা আর আশায় বেঁচে ছিলো। কিন্তু আল হাসান সেই আশা পূরন করতে সর্বোচ্চ টা দিয়ে চেষ্টা করেছেন।
যার কারনে ২০ মার্চ প্রথম প্রহরে ঘোষণা আসলো সাকিব আল হাসান বোলিং এ্যাকশন পরিক্ষায় উতরে গেছেন। আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেট কোথাও তার বোলিং নিয়ে আর কোনো ইস্যূজ থাকছে না। এটাই যেন স্বস্থির পূর্ণ রূপ।
সাকিবের বর্তমান অবস্থা থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সম্ভাবনা পুরোপুরি আছে এমনটা বলা যাবে না। তবে তিনি যে খেলতে পারেন তার একটা সম্ভাবণা ঠিকই আছে। এই অলরাউন্ডারের সামনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ অন্তত রয়েছে। একদিকে সুযোগ আরেক দিকে জাতীয় দলে তা প্রয়োজনীয়তা। একজন পারফেক্ট স্পিনারের খোজ করা হচ্ছিলো সাকিব যাওয়ার পর থেকেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নির্বিষ বোলিং ভক্তদের জন্য গলার কাটা হয়ে গিয়েছিলো। বাংলাদেশ দলকেও ভুগিয়েছিলো। সাকিব ফিরলে রেহাই মিলতে পারে উল্লেখিত এই সমস্যা থেকে। তাই সাকিবকে বড্ড দরকার জাতীয় দলে।