কদিন বাদে পিএসএল, এর আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। রিশাদ লিটন নাহিদ তিন জনের এনওসি নিয়েও আছে নানান আলোচনা। রিশাদ হোসাইনের জন্য এনওসি সহজ হলেও কঠিন হবে লিটন দাসের জন্য। ওয়ানডে টি-টোয়েন্টিতে বেহাল দশা হলেও টেস্ট ক্রিকেটে লিটনসাবলিল থাকেন।
এমন অবস্থায় শুরু থেকে তার পিএসএল খেলার সম্ভাবণা খুবই কম। অন্যদিকে নাহিদ রানাকে নিয়ে অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আর এতে দেশের ক্রিকেট কতটা লাভবান হবে সেই প্রশ্ন জেগেছে।
নাহিদ রানার পিএসএল খেলা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। এমন লিগ গুলোতে বাংলাদেশের বোলাররা সাধারণত সুযোগ পাননা দুই একজন যাও পেয়ে থাকেন তাও এনিওসি সংক্রান্ত ঝামেলার কারনে খেলতে পারেন না। সেই ঝমেলা আবারও পোহাতে হতে পারে লিটন দাস ও নাহিদ রানার ক্ষেত্রে। প্রথমেই আসা যাক রিশাদকে নিয়ে, এই লেগি দল পাওয়ায় বরাবরের মতোই দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মনে আলাদা ভালো লাগা তৈরী হয়েছিলো। বিগ ব্যাশের মতো পিএসএলে দল পাওয়াটা রিশাদের পারফরম্যান্সের ফিড ব্যাক।
তবে শংকা ছিলো এই লেগি এনওসি পাবেন কি না। কেননা বিগ ব্যাশের মতো লিগের জন্য ই এনও সি পাননি পিএসএলের জন্য পাবেন কি না সেটিও বড় প্রশ্ন হয়ে দাড়ায়।
তবে আশার খবর হলো এই যে রিশাদকে এনওসি দেয়ার ব্যাপারে ক্রিকেট বোর্ড পজিটিভ হতে পারে। কারন আসন্ন যে সিরিজকে নিয়ে শংকা তৈরী হয়েছে সে সিরিজে রিশাদের না থাকার সম্ভাবণা ই বেশি। যদি বিশেষ কোনো কারন না থাকে তাহলে রিশাদকে টেস্ট স্কোয়াডে রাখবে না বিসিবি। তাই টেস্ট সিরিজের সময় টুকুতে বসে না থেকে রিশাদ পিএসএল খেললে রিশাদের জন্য যেমন ভালো হবে তেমনি ভালো হবে বাংলাদেশ দলের জন্যও।
এবার আসা যাক নাহিদ রানা ও লিটন দাসের ব্যাপারে। এই দুজনার জন্য শংকা তৈরী হয়েছে, বিশেষ করে লিটন দাসকে নিয়ে। সবশেষ ১০ টেস্ট ইনিংসে লিটন ভালো করেননি, লাল বলের খেলায় তার ব্যাড প্যাচ চলছে তাই লিটনকে ফর্মে ফেরাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার এনওসি নাও দিতে পারে বিসিবি। তবে যতদূর জানা গেছে এই ব্যাটার এনওসির জন্য আবেদন করেছেন এমনকি তিনি পাকিস্তানে লিগ খেলতেও যেতে চাইছেন। কিন্তু বিসিবি তাকে ছাড়পত্র দেয়ার ব্যাপারে এখনও কিছু ভাবছে না। খুব সম্ভবত জিম্বাবুয়ে সিরিজের দুটি ম্যাচই খেলতে হতে পারে দাসকে। এরপর যদি সম্ভব হয় তাহলে ছাড়পত্র পেতে পারেন লিটন।
অন্যদিকে নাহিদ রানার ব্যাপারে চিত্র কিছুটা ভিন্ন। রানা টেস্ট স্কোয়াডের নিয়মিত সদস্য, তার কল্যানে বাংলাদেশ বেশ ভালো ফলও পেয়েছে রিসেন্ট পাস্টে। তাই তাকে প্রথমত স্কোয়াডের বিবেচনায় রাখা হতে পারে। তবে অধিনায়ক বলোছেন এমন লিগ রানার খেলা উচিৎ, ক্যাপ্টেনের যেহেতু সায় আছে সেহেতু রানাকে পিএসএল খেলতে পাঠাতে পারে বিসিবি। তার উপর লঙ্গার ভার্সন ম্যাচ থেকেও কিছুটা বিশ্রাম পেতে পারেন রানা।
সব দিক বিবেচনা করে নাহিদ রানাকে এনওসি দিলেও দেয়া হতে পারে। আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক ভাবে রিশাদ ও রনা দুজনেই এনওসি পেতে পারেন। লিটনের এনওসির জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে মে মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত।