ছাই থেকে জন্ম নেয় ফিনিক্স পাখি। যখন সবাই ভাবে সব শেষ, তখনই যেন হয় শুরু। নেইমারের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে গল্পটা এমনই।
টেবিলে সান্তোস তখন ১৮ নাম্বারে, ২৫ তারিখের ম্যাচের আগে জানা গেলো বড় ইঞ্জুরিতে নেইমার জুনিয়ার।
খেলতে পারবেন না এই মৌসুম। তাতে যেমন সান্তোসের কপালে চিন্তার ভাজ, নেইমারেরও বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নও যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছিল।
কিন্ত নেইমার মানলেন না এইসব নিয়ম। ইঞ্জুরি নিয়েই খেললেন শেষ ৩ ম্যাচ।
তাতে কাজের কাজ হলো, ৩ ম্যাচে ৯ গোল দিলো সান্তোস, হজম করলোনা এক গোলও। টেবিলের ১৮ থেকে শেষ করলো ১২ নাম্বারে এসে। শেষ ৩ ম্যাচে নেইমার করলেন ৫ গোল এসিস্ট, শেষ ৪ ম্যাচে সংখ্যাটা ৬।
আর সেটাই তো সান্তোসকে নিয়ে গেলো কোপা সুদারমেরিকার মত টুর্নামেন্টে।
হাটুর ব্যাথা সাথে নিয়েই সান্তোসের জন্য লড়াই করেছেন নেইমার, সান্তোসকে নিয়ে গেছেন মহাদেশীয় আসরে।
আর যে কারণে সান্তোস ভক্তরাও নেইমারের প্রতি জানিয়েছেন ভালোবাসা। এক ভক্ত তো সেই ভালোবাসার টানে বলেই দিলেন, নেইমার তুমি আমার এক হাটু নিয়ে যাও। নিজের হাটু না থাকলেও নেইমার খেলুক, এটাই চাওয়া ছিল তার।
নেইমার অবশ্য এটাকে জবাব দিলেন রসিকতার সুরে। বললেন একটি নয়, আমার তোমার দুটি হাটুই দরকার।
হয়তবা দুই হাটুতেই সমানভাবে ব্যাথা অনুভব করছেন নেইমার। আর সেখানেই রসিকতার সুরে যেন জানালেন নিজের অবস্থার কথা
সান্তোসের ম্যাচের পর ঘটে এমন অবস্থা। টিএনটি স্পোর্টসে আসে সেই উক্তি।
সেখানে স্প্যানিশে ভক্ত নেইমারকে বলেন “ নেইমার আমি তোমাকে আমার হাটু দিয়ে দেব যাতে তুমি খেলতে পার” এর জবাবে দুই হাত উচিয়ে নেইমার বললেন” আমার তোমার দুটি হাটুই চাই”
তবে আপাতত ভক্তের নয়, নিজের হাটুই ঠিক করতে যাচ্ছেন নেইমার। সান্তোসের হয়ে জয়ের পর সবার কাছে এমনটা বলেন তিনি।
এখন সময় রিলাক্সের, একই সাথে হাটুর অস্ত্রোপাচার করতেও যাচ্ছেন নেইমার। এই হাটুর ইঞ্জুরির জন্য সান্তোসের হয়ে নিয়মিত ম্যাচ খেলতে পারেননি, শেষের দিকেও ছিলেন অর্ধ ফিট।
তাতে সান্তোসের উপকার হলেও সেলেসাও কোচ কার্লোর যে কড়া বার্তা আছে। কাউকে খেলতে হলে হতে হবে পুর্ণ ফিট। সেই ফিটনেসের তারনায়ই এবার ছুরি কাচির নিচে বসছেন নেইমার। সুস্থ্য হয়ে ১০০ ভাগ ফিট হয়েই নেইমার আসুক বিশ্বকাপে, এটাই চাওয়া সব সেলেসাও ভক্তদের।




