ভারত পাকিস্তান দ্বন্ধ যেন নতুন কিছু নয়। রাজনৈতিক, কুটনৈতিক দ্বন্ধ চলমান কয়েক দশক থেকেই।
সেটার প্রভাব ক্রিকেটের মাঠেও পড়েছে অনেকবার। ক্রিকেট মাঠে দুই দলের প্রতিযোগিতা নতুন নয়, দুই দলের বৈরিতা ও মুখোমুখি অবস্থানও থাকে অনেকক্ষেত্রে।
এবার মুখোমুখি অবস্থানে দুই দেশের ফ্রাঞ্চাইজী লীগ। তাতে ক্ষতির মুখে আইপিএলই।
ফ্রাঞ্চাইজী ক্রিকেটের ব্যাস্ত সুচি, পিএসএলের সময়সুচি নিয়ে ছিল শঙ্কা। আর সেখানেই মাষ্টারস্টোক পিসিবির, আইপিএলের সময়ে আয়োজন করে পাকিস্তান সুপার লীগ পিএসএল।
শুরুর আসরে আইপিএলে দল না পাওয়া খেলোয়াড়রা খেলেছেন পিএসএলে। তবে এবারের আসরে কিছুটা বদলও হচ্ছে এর।
অনেক খেলোয়াড় আইপিএলের চেয়ে পিএসএলে নিয়মিত খেলার জন্য পিএসএলে নাম লেখাচ্ছেন, আবার অনেকে আইপিএলের নিলামের আগেই সরিয়ে নিয়েছেন নাম।
মইন আলী, ম্যাক্সওয়েল, ওয়ার্নার, উইলিয়ামসনের মত ক্রিকেটাররা নামই লেখাননি আইপিএলের নিলামে। আর তাতে পড়তি আইপিএলের মান।
অন্তত অর্থনৈতিকভাবে যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আইপিএল, সেটাই জানা গেলো এবার।
আইপিএলের ক্ষতির হিসাব জানা গেলো ভারতীয় গণমাধ্যমেই। আইপিএল ও ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে আলোচিত সংবাদমাধ্যম ক্রিকটেকার এই তথ্য প্রকাশ করে।
আর সেখানে তারা জানায়, ৩ লক্ষ কোটি টাকার মত ক্ষতির মুখে পড়েছে আইপিএল।
গত আসরে আইপিএলের মুল্য ছিল ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের টাকায় ১৪ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকার অধিক।
তবে এই বছর আইপিএলের মুল্য কমে দ্বাড়ায় ৯.৬ বিলিয়ন ইউরো বা ১১ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকায়।
অর্থ্যাৎ ২.৪ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে আইপিএলের নাম। যা বাংলাদেশের টাকায় ২ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা বা প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা। এছাড়া সামগ্রিক হিসেবেও প্রায় ২৫ ভাগ কমে গেছে আইপিএলের দাম।
এর আগে আইপিএলের সময় হত না অন্যান্য লীগ, এমনকি সিরিজ হতো কালেভদ্রে। তবে বর্তমানে পিএসএল হওয়ায় সবার নজরে চলে যাবে ঐদিকেও।
একইসাথে খেলোয়াড়রাও দুই ভাগে হয়ে গেছে ভাগ, যে কারণে পিএসএলে নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড়দের দেখতে মুখিয়ে থাকবে তাদের ভক্তরা। সব মিলিয়ে পিএসএলের সাথে দ্বন্দ্বে আর্থিক ক্ষতি ভারতেরই হলো।
এই ক্ষতি সামলে উঠতে আগামী দিনে কি পদক্ষেপ নেয় ক্রিকেটের এই মোড়ল দেশ, সেটাই এখন দেখার বিষয়।




