ফিফা র্যাংকিং এর এক নাম্বার দল স্পেন। দলটি সর্বশেষ হেরেছে ২১ মাস আগে কলম্বিয়ার বিপক্ষে।
২০২২ বিশ্বকাপের পর দলটি হেরেছে মাত্র ২ ম্যাচে। এমন দলের বিপক্ষে লড়াইটা বেশ কঠিন আর্জেন্টিনার জন্য।
এমনকি কাগজে কলমে স্পেনকে আর্জেন্টিনার চেয়ে শক্তিশালী বললেও হবেনা ভুল। অন্তত ৫ বড় পরীক্ষায় জিততে হবে আর্জেন্টিনা দলকে, যার মাধ্যমে নিজেদের দিকে ফল আনতে পারবে তারা।
মাঝমাঠের লড়াই ও বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনাকে দিতে হবে প্রথম পরীক্ষা। স্পেনের খেলার মূল শক্তি তাদের বল দখল।
মেরিনো, যুবামেন্ডি, গাভি, পেদ্রি, ফাবিয়ান রুইস,এরা সবাই মাঝমাঠ বল নিজের পায়ে রেখে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে পারদর্শী।
অন্যদিকে আর্জেন্টিনা বেশি খেলে ট্রানজিশন ভিত্তিক ফুটবল। মাঝমাঠে এনজো, ম্যাক অ্যালিস্টার, দে পলকে তাই অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে বল পেতে ও তা নিজেদের মাঝে রাখতে।
অপরদিকে আর্জেন্টিনা দলের মাঝমাঠ ভালো হলেও স্পেনের মাঝমাঠ সেরাদের সেরা। তাই আর্জেন্টিনার এই জায়গায় থাকবে বড় চ্যালেঞ্জ।
একদিকে বার্সেলোনার রাইট উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল, অপরদিকে বিলবাও এর নিকো উইলিয়ামস।
স্পেনের দুই উইং অত্যন্ত দ্রুতগতির। একই সাথে ড্রিবলিং, চাঞ্চ ক্রিয়েট সবমিলিয়ে এই ডুয়ো সেরা উইঙ ডুয়োর তালিকায় থাকবে।
আর্জেন্টিনার দুই ফুলব্যাক টাগলিয়াফিকো ও মোলিনা বা মন্টিয়েলের সামনে থাকবে বিরাট চ্যালেঞ্জ। ১ বনাম ১ পরিস্থিতিতে টানা প্রেস ও কাট-ইন থ্রেট আর্জেন্টিনাকে বারবার বিপদে ফেলতে পারে এই দুই উইঙ্গার।
সাম্প্রতিক সময়ে ফুলব্যাকে সমস্যায় থাকা আর্জেন্টিনার জন্য এটা হবে বিরাট চ্যালেঞ্জ।
স্পেনের বিপক্ষে নিজেদের উইঙেও পরীক্ষা আর্জেন্টিনা দলের। স্পেনের লেফট ব্যাকে আছেন কুকুরেলা, যিনি ফর্মে থাকা অন্যতম সেরা লেফট ব্যাক। রাইট ব্যাকে থাকবেন কার্ভাহাল বা পেদ্রো পরোর মত খেলোয়াড়।
আর সেখানে আর্জেন্টিনার উইঙে মেসি বাদে পরীক্ষিত কোন মুখ নেই। যদি স্পেন দল আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগকে একদিকে বন্ধ করে দিতে পারে, তবে এই উড়তে থাকা স্পেনের বিপক্ষে জয় পেতে হিমশিমই খেতে হবে আর্জেন্টিনাকে।
আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগকে এই ম্যাচে কমাতে হবে মেসি নির্ভরশীলতা।।মেসি অনেক ম্যাচে একা হাতে ম্যাচ ঘুরাতে পারেন, তবে লুই ফয়েন্তের মত কোচ মেসিকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করবেন তাতে সন্দেহ নেই। আর সেখানে আলভারেজ, পাজ, লাউতারো, আলমাদাদের জ্বলে উঠতে হবে।
কেননা যদি অন্যরা মেসিকে সহযোগিতা করতে না পারে, তবে স্পেনের মত কাজে লাগাতে চাইবে সেই সুবিধা।
বড় ম্যাচের টেম্পো ও মানসিক দৃঢ়তা দরকার হবে আর্জেন্টিনার জন্য। কেননা ইউরোপীয়ান দলের সাথে ২২ বিশ্বকাপের পর ম্যাচ খেলেনি আর্জেন্টিনা দল। অপরদিকে সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টিনা
ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছে দুর্বল দলের বিপক্ষে। তাই বড় ম্যাচে ফিরে এসে খেলাটা সহজ হবেনা আর্জেন্টিনার, সেটাও শিরোপা নির্ধারনি ম্যাচ। সেখানে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে আর্জেন্টিনাকে, ম্যাচে রাখতে হবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ। সব মিলিয়ে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে আর্জেন্টিনার জন্য। তবে বড় কিছু পেতে চাইলে যে কঠিন কিছুর বিপক্ষেই দিতে হয় পরীক্ষা।




