২ দিনের মধ্যেই মুদ্রার এপিঠ ও ওপিঠ বাংলাদেশ জাতীয় দল। আফগানিস্তানকে বড় ব্যাবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ দল। তবে দুইদিন পরেই সবচেয়ে বড় দুসংবাদ এলো বাংলাদেশ শিবিরে। এবার ইঞ্জুরিতে দলের সবচেয়ে ফর্মে থাকার ব্যাটার শান্ত। হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যার কারণে দেশে ফিরছেন তিনি। শান্তর ইঞ্জুরি ও তার বিকল্প নিয়ে বিস্তারিত থাকছে প্রতিবেদনে
ইঞ্জুরি সমস্যা যেন কোনভাবেই থামছেনা বাংলাদেশ শিবিরে। এশিয়া কাপের মত বড় আসরে একের পর এক ইঞ্জুরি খর্ব করছে দলের শক্তি। ইঞ্জুরির জন্য আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। এশিয়া কাপের আগে ইঞ্জুরিতে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেছেন এবাদত হোসেন। জ্বরের কারণে লিটন দাসও খেলতে পারেননি শুরুর দুই ম্যাচ। মুস্তাফিজ, মিরাজদেরও আছে ইঞ্জুরি শঙ্কা। তবে এর মাঝেই বড় দুসংবাদ পেলো বাংলাদেশ। এবার ইঞ্জুরির কারণে ছিটকেই গেলেন শান্ত।
এই বছর বাংলাদেশ দলের সেরা ব্যাটসম্যান শান্ত। এই বছর সব ফরম্যাটে নিয়মিত রান করছেন শান্ত। অডিয়াই ফরম্যাটে তো আরো দুর্দান্ত এই ব্যাটসম্যান। ১৪ ইনিংসে ২ সেঞ্চুরি ও প্রায় ৪৮ গড়ে শান্তর রান ৬২২। আফগান সিরিজে ৩ ম্যাচে ২৪ রান বাদ দিলে আরো দুর্দান্ত তিনি।বাংলাদেশ তো বটেই, শীর্ষে ১০ এ আছেন বিশ্বের সব ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এই বছরের রানের তালিকায়।
তবে এবার সেই শান্তকেই আর এশিয়া কাপে পাবেনা বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের শুরু থেকেই ইঞ্জুরি শঙ্কা ছিল শান্তর। ইঞ্জুরি নিয়েই খেলেছেন শুরুর দুই ম্যাচ। সেখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলেন ৮৯ রান। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রান আউট হওয়ার আগে করেন ১০৫ বলে ১০৪ রান। দুটি ইনিংসে ব্যাটিংএ সাবলীল হলেও বেশ কয়েকবার অস্বস্তি দেখা দিয়েছিল শান্তর মাঝে।
গত ম্যাচে মাঝে ফিল্ডিংও করেননি কিছু সময় শান্ত। ধারণা করা হচ্ছিল শান্তর ইঞ্জুরি খুব বেশি কনসার্নিং না। অন্তত এশিয়া কাপ খেলতে পারবেন এই ক্রিকেটার। তবে সেটি আর সম্ভব হয়নি। হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা মাথাছাড়া দিয়েছে ভালোই। ফলে সুপার ফোর খেলা হচ্ছেনা শান্ত। ফিরে আসছেন দেশে।
শান্ত দল থেকে যদি ছিটকেই যান, তবে দলে যোগ দিবেন কে.? শান্তর পজিশনেই কে খেলবেন.?লিটন দাস ইতিমধ্যেই দলের সাথে যোগ দিয়েছেন। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে শান্তর পরিবর্তেই দেখা যাবে লিটনকে। কেননা ১৭ সদস্যের দলে আগে রুলড আউট ছিলেন লিটন। সেক্ষেত্রে কার বদলে তাকে অন্তভুক্ত করা হবে তা নিয়ে ছিল ধোয়াশা। তবে শেষ পর্যন্ত দলের সবচেয়ে ইনফর্ম ব্যাটারের বদলেই দলে আসলেন লিটন। যেন সৌভাগ্যের জায়গায় দুর্ভাগ্যই সঙ্গী হলো বাংলাদেশ দলের।
শান্ত যেভাবে ফর্মে ছিলেন, এই ইঞ্জুরি তার ও দলের জন্য বড় ধাক্কা। বিশেষ করে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন নাম্বার পজিশনে খেলেন শান্ত। সেখানে নিয়মিত পারফর্ম করা ও সেটেল একজন খেলোয়াড়ের জায়গা কে নিবে তা নিয়েই আছে প্রশ্ন এখন। লিটন দাস দলে যোগ দিলেও তাকে অপেনিংএ বিবেচনা করবে নাকি তিনে খেলাবে ম্যানেজমেন্ট, সেটাও আরেকটি প্রশ্ন।
সব মিলিয়ে বড় ধাক্কাই খেলো বাংলাদেশ। লিটনের যোগদানে সে ধাক্কা কতটা সামাল দেওয়া যায়, এখন এটিই হবে সামনে দেখার বিষয়।
প্রতিবেদক: মো শরিফুল ইসলাম