একটা সময় বাংলাদেশেকে বলা হত স্পিনারদের স্বর্গ। সেই বাংলাদেশ দিনে দিনে হয়ে যাচ্ছে পেসারদের ঘাটি। বাংলাদেশের পেসাররা এখন সারাবিশ্বেই সমাদৃত হচ্ছেন। বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বেই রাজত্ব চালাচ্ছেন বাংলাদেশের পেসাররা। এই যেন ফ্রন্ট লাইনের তিন পেসার তাসকিন, মুস্তাফিজ ও শরীফুল, এরা নিয়মিত খেলছেন একাধিক লীগ। এবার সেখানেই নিজেকে নতুন করে চিনিয়ে যাচ্ছেন শরীফুল ইসলাম।
কানাডা লীগে নিজের দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন এই বাহাতি পেসার। শুরুর দিকে দুইদিকেই সুইং আদায় করে ব্যাটসম্যানদের বোকা বানাচ্ছেন। এরপর বল পুরাতন হলে ধরে রেখেছেন লেন্থ। একই সাথে রাউন্ড দ্যা উইকেট বা বিভিন্ন এঙ্গেল কাজে লাগিয়েছেন। গতিতেও এনেছেন ভারসাম্য, ভ্যারিয়েশনে হয়েছেন সিদ্ধহস্ত। তার ফল পেতে শুরু করেছেন। কানাডার গ্লোবাল টি২০ তে এই মুহুর্তে অন্যতম সেরা বোলার এই শরীফুল।
৪ ম্যাচ বোলিং করে শরীফুল স্বীকার করেছেন ৬ উইকেট। এই চার ম্যাচে শরীফুলের বোলিং করেছেন মোট ১৬ ওভার। তার ৪ ম্যাচে স্ট্রাইক রেট ১১.৫। সবচেয়ে নজর কাড়া শরীফূলের ইকোনমি। শেষ ম্যাচে শরীফুল বল করেছেন ৩ এর কম ইকোনমিতে, ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১১ রান। এর আগের ম্যাচে হাইভোল্টেজ রান স্কোরিং ছিল। সেখানে পাওয়ারপ্লে ও ডেথে বল করে ৪ ওভারে ৩১ রান দেন শরীফুল। দলের ১৪ তম ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে ম্যাচটাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেন শরীফুল। সে ম্যাচে তুলে নেন এক উইকেটও। এর আগে বিপক্ষ দল যখন ১৫৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিং এ নামে, তখন ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে তাদের জয়ের স্বপ্ন শেষ করে দেন শরীফুল। এমনকি শুরুর ম্যাচে যেখানে তার দল হজম করে ১৮৯ রান, সেখান শরীফুল বোলিং করেন ৪ এর কম ইকোনমিতে। লিন, সেইফার্ট, এগারদের সামনে দেন ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান। এর মাঝে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তো আছেই।
ধীরে ধীরে নিজের পরিপক্বতা সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরছেন বাংলাদেশের শরীফুল। এই মুহুর্তের স্কিলের দিক থেকে বাংলাদেশের সেরা বোলার শরীফুল। দিনে দিনে এইসব লীগ খেলে নিজেকে আরো শানিয়ে নিতে পারবেন। আর সেটাই করে যাচ্ছেন তিনি। কানাডা লীগে নিজেকে দুর্বোধ্য বানিয়েছেন। এবার নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার পালা। শরীফুলের এই পারফর্মেঞ্চে সারাবিশ্বে বাড়াচ্ছে তার খ্যাতি। যাতে উপকৃত হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটই।