চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভার খেলে ৪ উইকেটে ২৫৮ রান, দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (১১৪*) ও দীনেশ চান্ডিমাল (৩৪*) ক্রিজে থিতু। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে স্বস্তির সুবাতাসটা তাই শ্রীলঙ্কার ড্রেসিংরুমেই বইছিল। ম্যাথুস দেড় শ ছাড়িয়ে যাবেন, চান্ডিমাল ফিফটি করে এগিয়ে যাবেন সেঞ্চুরির দিকে—সফরকারীদের প্রত্যাশা এমনই হওয়ার কথা।
বাংলাদেশ দলের তরুণ অফ স্পিনার নাঈম হাসান অবশ্য সেটি হতে দিলেন না। প্রথম দিনের মতো আজও প্রথম সেশনটা শ্রীলঙ্কার চোখের সামনে থেকে ছিনিয়ে নিলেন জোড়া আঘাতে। ৬ উইকেটে ৩২৭ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা।
দুজনের দ্রুত বিদায়ের পর ৬ উইকেটে ৩২৭ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। ম্যাথুস ১৪৭ রানে অপরাজিত ছিলো । ৪ উইকেট নিয়ে নাঈমই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা বোলার।
শেষ খবর লাঞ্চ বিরতির পর চা-বিরতির পূর্ব পর্যন্ত শ্রীলংকার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩৭৫ রান। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ১৭৮ ফার্নান্ডেজ অপরদিকে ১৭ রানে অপরাজিত আছেন।
দিনের শুরুটা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য একদমই স্বস্তির ছিল না। প্রথম দিনের মতো আজও দুই পেসার শরীফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ লাইন-লেংথ খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়েছেন। তাতে স্বাচ্ছন্দ্যে রানও তুলেছেন ম্যাথুস-চান্ডিমালরা। রান করার চেষ্টায় একবার আউটও হতে পারতেন ম্যাথুস। ৯৪তম ওভারের পঞ্চম বলে খালেদের ভালো লেংথ থেকে লাফিয়ে
ঠিক পরের বলটি ম্যাথুস বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দিলে পেসারদের আর বোলিংয়ে আনার সাহস পাননি মুমিনুল। রান থামাতে সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম ৩০ গজের বাইরে চারজন ফিল্ডার বাইরে রেখে ওয়ানডে মেজাজের বোলিং করেছেন। তাতে যা লাভ হয়েছে, সেটির সুবিধা নিয়েছেন নাঈম। সাকিব-তাইজুলের মতো লাইন-লেংথে ধারাবাহিক ছিলেন না ঠিকই, কিন্তু উইকেট নেওয়ার মতো ডেলিভারি ছিল নাঈমের স্পেলে। শেষ পর্যন্ত সেই নাঈমেই শ্রীলঙ্কার প্রথম সেশনে ভাগ বসাল বাংলাদেশ।
দলের ক্রিকেটারদের জন্য মাঠে পানীয় আনা–নেওয়ার ফাঁকে গ্যালারির দর্শকদের দিকেও কাল পানির বোতল ছুড়ে মারছিলেন পেসার শহীদুল ইসলাম। বাংলাদেশ দলের আরেক ক্রিকেটার নুরুল হাসানকেও গরমে অতিষ্ঠ দর্শকদের পানির পিপাসা মেটাতে দেখা গেছে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারির যে অংশটা ছাউনিতে ঢাকা, সেখানে সাধারণ দর্শকদের প্রবেশাধিকার নেই। আর সাধারণ দর্শকদের জন্য মাঠের দুই পাশে যে সাধারণ গ্যালারি, তা উন্মুক্ত আকাশের নিচে। বৃষ্টি, রোদ কোনোটা থেকেই তাই রক্ষা নেই দর্শকদের।