দুয়ারে ঘনিয়ে আসছে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ।চলতি মাসের শেষেই শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ এবং এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
সামনে এত বড় দুটো আসর দরজায় কড়া নাড়লেও এই দুটি আসরে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন কে,তা নিয়েছিল ধোঁয়াশা।গত ৩রা আগস্ট বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে বৈঠক করে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়েন তামিম ইকবাল।এরপর থেকেই অধিনায়ক ইস্যু নিয়ে বিসিবিতে বাড়িতে থাকে জটিলতা।গত ৮ই আগস্ট বিসিবির কার্যালয়ে এই বিষয়ে জরুরি বোর্ড সভা হলেও তা থেকে আসেনি চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত।
অবশেষে ১১ই আগস্ট শুক্রবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করলেন।সাকিবের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেই বিসিবি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বলে জানান পাপন।আসন্ন এশিয়া কাপ দিয়েই সাকিব তার নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন।২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও সাকিবের নেতৃত্বেই খেলবে বাংলাদেশ দল।
ওয়ানডেতে দ্বিতীয় দফায় জাতীয় দলের অধিনায়কত্বের ভার পড়ল সাকিবের কাঁধে। এর আগে ২০০৯ সালে উইন্ডিজ সফরে মাশরাফি বিন মুর্তজা ইনজুরি তো পড়লে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের নেতৃত্ব পান সাকিব।সেই দফায় প্রায় দুই বছর দলকে নেতৃত্বে দিয়েছিলেন তিনি।২০১১ সালে বাংলাদেশ,ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে টাইগারদের অধিনায়ক ছিলেন সাকিব।
দ্বিতীয় দফায় ওয়ানডের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় সাকিব এখন বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক।
২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি এবং ২০২২ এর জুনে সাদা পোশাকে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভার ওঠে তার কাঁধে।তবে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব সাকিবের জন্য চাপ হয়ে যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘ সাকিব তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করবেন কিনা সেটা সে দেশে আসার পর তার সঙ্গে সরাসরি বসে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে