ক্রিকেটকে বলা হয় গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা।
একটি ক্রিকেট ম্যাচ জন্ম দেয় নানান ঘটনা-অঘনার।ঠিক তেমনি এক অঘটনের জন্ম দিলো আরব আমিরাত জাতীয় ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে একরকম উড়িয়েই দিয়েছে তারা।
শনিবার কিউইদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পায় আরব আমিরাত।আর প্রথমবারের মতো কোনো সহযোগী দেশের সাথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হারলো নিউজিল্যান্ড।
এদিন আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে মাত্র ১৪২ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শূন্য রানেই আমিরাতের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।তবে এরপর মোহম্মদ ওয়াসিম ও অরভিন্দ মিলে ৪০ রানের জুটি গড়েন।২১ বলে ২৫ রান করে জেমিসনের বলে বোল্ড হন অরভিন্দ। তবে আসিফ খানকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক ওয়াসিম ৫৬ রানের জুটি গড়লে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় আরব আমিরাত।ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করে আউট হন ওয়াসিম ৫৫(২৯)।চারটি ৪ ও তিন ৬ এর সাহায্যে তার ঝড়ো ইনিংসটি সাজান তিনি।এরপর বাকি কাজটুকু বাসিল হামিদকে সঙ্গে নিয়ে সারেন আসিফ খান।৫ চার ও ১ ছয়ে ২৯ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন আসিফ। মাত্র ১৫.৪ বলে ৭ উইকেট হাতে রেখে ঐতিহাসিক জয় পায় আরব আমিরাত।
এর আগে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড।শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা।একপর্যায়ে ৩৮ রানে ৪ এবং ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারায় কিউইরা।তবে স্রোতের বিপরীতে একাই দলের হাল ধরেন চ্যাপম্যান।তিন ৪ ও ৩ ছয়ে তার ৪৬ বলে ৬৩ এবং শেষের দিকে জিমি নিশামের ১৭ বলে ২১ রানের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তুলতে পারে নিউজিল্যান্ড।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে আয়ান খান সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন।
এই জয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ এ সমতা আনলো আরব আমিরাত।
২০শে আগস্ট রবিবার একই মাঠে সিরিজের শেষ এবং সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।