ঝড়ে বড় গাছটা আগে পরে, নামটা যখন সাকিব আল হাসান হয় তখন নানান অভিযোগ হালাল হয়ে যায়। সাকিব দেশের ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে বেশি সুখ্যাতি বয়ে আনলেও দিন শেষে সবচেয়ে বদনাম তারই হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে সাকিব নাকি পাচার করেছে,
প্রশ্ন, সন্দেহ, প্রমান, আদালত এসব তো পরের কথা। নামটা যখন সাকিব হবে তখন শোনা মাত্রই বিশ্বাস করতে হবে! আরও বিতর্কে তাই শুরুতেই পিছিয়ে সাকিব।
রাজনীতি সাকিবের চরম ভুল হলেও এমনটা মনে করেন না সাবেক অধিনায়ক, দেশের সেবা করতেই নাকি হয়েছিলেন দেশ নায়ক। জনসেবাই নাকি সাকিবের ছিলো মূল ইচ্ছা; বিধিবাম অল্প দিনেই হয়েছে খতম সব কিচ্ছা!
সরকার পতনের সঙ্গে খেলোয়াড় সাকিবেরও পতন হয়েছে। নানান অভিযোগে অভিযুক্ত সাকিব, এজাহার ভুক্ত আসামি হওয়ায় দেশেও আসতে পারছেন না নিরাপত্তা ইস্যূতে।
মরার উপর খারার ঘা হয়ে ধরা দিয়েছে দুর্নিতী দমন কমিশনের অভিযান।
যদি হয় প্রমান তাহলে পাচারকারী হিসেবেই আত্মপ্রকাশ ঘটাবেন আল হাসান। এও কি সম্ভব?
শুরুতেই বললাম সাকিব বলেই সম্ভব, দোষ করুক না আর না করুক, অভিযোগ ওঠা মানেই বিতর্ক শুরু। সাকিব যেন সত্যিকারের নন্দ ঘোষ যার জীবনে অভিযোগ ওঠাই আসল সত্য!
জাতীয় দৈনকের খবর অনুযায়ী অর্থ পাচারকারীর তালিকায় সাকিব। ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা অলরাউন্ডারের নাম এখন পাচারকারীর তালিকায়। লেসলি হিল্টন হয়তো নন সাকিব, তবে ক্রিকেটে ২য় লেসলি যেমন জন্মায়নি তেমনি ২য় সাকিবও আর নেই। লেসলির মতোই একা, এক পিস।
ক্ষমতা না থাকলে কি হতে পারে তা হারে হারে টের পেয়েছেন ১৪ হাজার রান করা এই ব্যাটার। তবে এতোটাও যে ব্যাকফুটে গিয়ে আউট হতে হবে তা হয়তো জানা ছিলো না সাকিবের।
ক্রিকেটের সব পিচ পরতে পারলেও জীবনের পিচ পড়ায় যথেষ্ট অমনোযোগী ছিলেন সাকিব আল হাসান।
আরেকটু মনযোগী হলে অনেক ঝামেলা থেকে এড়াতে পারতেন, ভক্তদের কথা চিন্তা করে হলেও সাকিব নিজের দিকে তাকাতে পারতেন। তাকাননি, যার মাসুল গুনতে হচ্ছে অর্ধ বয়সী খন্দকার ফয়সালকে!
ক্ষমতার পট পরিবর্তনে সাকিব এখন কেবল সাধারণ ব্যক্তি, এমপি, ক্রিকেটার এসব পরিচয় সাকিব হারিয়ে ফেলেছেন। জাতীয় কিংবা ঘরোয়া কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলা হচ্ছে না সাকিবের।
ম্যাচের কঠিন মুহূর্তে আর্ম বল করা সাকিব যেন নিঃশেষ হয়ে গেছেন জীবন নামের কঠিন আর্মারে। সাকিব, ক্রিকেট আর জীবন বহুত তফাৎ।