বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সুন্দর সময়েরই যেন এক বিষফোড়া কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।
বিশেষজ্ঞরা তার বিরুদ্ধে কথাতো বলছেনই, বেশ কিছু বাফুফের সদস্যরাও খুশি নন এই কোচের প্রতি।
চলতি বছরের জুনে জাতীয় দল কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যেই হাভিয়ের ক্যাবরেরার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।
তার এই বক্তব্যের জেরে তাকে জাতীয় দল কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এবার স্প্যানিশ কোচের সমালোচনায় সরব হলেন বাফুফের আরেক সদস্য ছাইদ হাসান কানন।
গতকাল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অনুশীলনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কানন।
সেখানে ক্যাবরেরার কোচিং ও সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে একসঙ্গে চারজন খেলোয়াড় পরিবর্তনের কৌশলটি মোটেই ভালো লাগেনি কাননের।
তিনি বলেন, “একসঙ্গে চারজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করাটা আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে।
একজন সাবেক খেলোয়াড়, কোচ এবং জাতীয় দল কমিটির সদস্য হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত আমাকে হতাশ করেছে।”
শুধু তা– নয়, নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে একাদশে না রাখায়ও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।
রাকিবের রাইটব্যাকে খেলার সিদ্ধান্ত এবং সেটপিসের সুযোগগুলো নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কানন।
তার ভাষায়, “আল আমিন নামার পর রাকিব কেন রাইট ব্যাকে গেল? জামাল ভূঁইয়াকে কেন নামানো হলো না?
ভুটানের বিপক্ষে জামালের সেটপিস থেকেই হামজার গোল এসেছিল।
সিঙ্গাপুর ম্যাচে ১১টি সেটপিস পেয়েছি, জামাল থাকলে অন্তত একটি গোলের সম্ভাবনা থাকত।
আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, কোচ নাকি জানতেন না রাকিব রাইটব্যাকে খেলেছে!
তাহলে কোচিং স্টাফদের ভূমিকা আসলে কী?”
অবশ্য কোচের ভুমিকা কি সেটা কোচ নিজেও জানেন কিনা সে নিয়েও আছে সন্দেহ।
দলে এতো ভালো ভালো খেলোয়াড়রা আসছেন,সমিত,হামজা, ফাহমিদুলরা তাৎক্ষণিক আউটপুট দিচ্ছেন,অথচ খেলোয়াড়দের কাজে লাগানোর মতো কোনো ট্যাকটিক্স সাজাতে পারছেন না কোচ।
অবশ্য তাতেও বাফুফের মন মতোই আছেন ক্যাবরেরা, আছেন নিজের পদেই!




