নেইমার যখন ছন্দে থাকেন, তখন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ঝড় বয়ে যায়,এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।
ব্রাজিলিয়ান সিরি আ’তে জুভেন্টুডের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এই তারকা ফরোয়ার্ড।
নেইমারের জোড়া গোলে সান্তোস ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে প্রতিপক্ষকে।
ম্যাচটি নেইমির জন্য ছিলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কেননা তার পারফরম্যান্স দেখার জন্যই ব্রাজিলের কোচ ও ম্যানেজমেন্ট উপস্থিত ছিলো মাঠে।
এমন ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে।
বল দখল কিংবা গোলে শটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক লড়াই হলেও এগিয়ে যায় সান্তোস।
৩৭তম মিনিটে নেইমার প্রথম গোলটি করে দলকে এগিয়ে দেন।
এরপর মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে আলভারো ব্যারিয়েল স্কোরলাইন ২-০ করে দেন।
তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে এক গোল শোধ দেয় জুভেন্টুড। তাদের পক্ষে গোলটি করেন উইলকের এঞ্জেল।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে খেলা কিছুটা ধীর গতিতে চললেও, ৮০ মিনিটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আবার নিজের করে নেন নেইমার।
প্রতিপক্ষের বক্সে ফাউলের পর পাওয়া পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলটি করেন তিনি।
এই ম্যাচে নেইমার শুধু গোলই করেননি, দিয়েছেন নিজের ফিটনেসের বার্তাও। ২০২২ সালের পর এই প্রথম টানা পাঁচটি ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট মাঠে থাকলেন তিনি। দীর্ঘ চোটজর্জর ক্যারিয়ারে এটি তার জন্য এক ইতিবাচক দিক।
এই জয়ে লিগ টেবিলেও কিছুটা স্বস্তিতে ফিরেছে সান্তোস।
২০ দলের এই লিগে ১৭ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। তাতে ১৫ নম্বরে উঠে এসেছে দলটি।
নেইমারের এমন পারফরম্যান্স জাতীয় দলের কোচ কার্লো আনচেলত্তির নজর কাড়তে বাধ্য।
কোপা আমেরিকা ব্যর্থতার পর ব্রাজিল দলে পুনর্গঠনের আভাস মিলছে, আর তাতেই নেইমার হতে পারেন বড় ভরসার নাম।




