“ থালা ফর এ রিজন “ মাহেন্দ্র সিং ধোনি যেন বর্তমানে এই নামেই বেশি জনপ্রিয়। ধোনির থালা নাম এসেছে চেন্নাই ভক্তদের কাছ থেক।
ঝারখন্ডতে জন্ম নেওয়া মাহেন্দ্র সিং ধোনিও যেন হয়ে গেছেন চেন্নাই এর একজন।
২০১৯ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই মাহেন্দ্র সিং ধোনি।
অথচ ২০২৫ সালে এসেও আইপিএলের মঞ্চে আছেন ধোনি, খেলছেন চেন্নাই এর হয়ে।
ধোনিরা রাচি থেকে হয়ে যাচ্ছেন চেন্নাই এর, দিল্লির ভিরাট কোহলির ব্যাঙালুরের হয়ে শিরোপা জয়ে আবেগে ভাসে দেশ বিদেশের কোটি ভক্তরা।
শুধু আইপিএলে নয়, লাহোরের অংশে এক হয়ে আছেন শাহীন শাহ আফ্রিদির নাম। অথচ বাংলার ক্রিকেটে নেই এর ছিটেফোটা।
প্রতি বছর বিপিএলের সময় পরিবর্তন হয়ে যায় দল। বিদেশী খেলোয়াড় তো বটেই, হয়না দেশী খেলোয়াড় রিটেশন৷ খেলোয়াড় তো দূরে থাক, বছর বছর পরিবর্তন হয়ে যায় দলেরই নাম। ঢাকা, রাজশাহীরা একেক বছর আসেন এক এক নামে।
এরপর নানা অভিযোগ মাথায় নিয়ে আসর থেকে চলে যান। এভাবেই চলে বিপিএল।
এমন কিছুতেই বিরক্ত দেশের ইতিহাসের সর্বসেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল।
অন্য দেশের লীগ যেখানে প্লেয়ার রিটেশনে করে, সেখানে নতুন নতুন ফ্রাঞ্চাইজী আর নতুন নতুন দলে খেলোয়ড়দের যাওয়ায় বিরক্ত তামিম।
এর কারণে বিপিএলের মান বাড়েনা বলে অভিযোগ তামিমের। সেখানে কাউকে ঘিরে আলাদা ফ্যানবেইজ তৈরি হয়না বলে জানান তামিম।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বিপিএলে বরিশালে খেলেন তামিম, রংপুরে সাকিব।
মাঝে ২ আসরে এই দুই খেলোয়াড়ের জন্য রংপুর ও বরিশালের তৈরি হয় আলাদা রাইভালারি।
তবে পরের আসরে সাকিবকে নেয় চট্টগ্রাম। যদিও সে আসরে খেলা হয়নি সাকিবের।
ফলে একদিক রংপুর বরিশাল রাইভালারি নষ্ট হয়, আবার রাতারাতি চাইলেও তৈরি হয়না নতুন দুই দলের দ্বৈরথ।
একই সাথে এক খেলোয়াড় আজ খেলেন এক দলে, কাল যোগ দেন অন্য দলে।
ফলে দলগুলোর প্রতি খেলোয়াড়দের যেমন তৈরি হয়না নিজস্ব আবেগ, আবার ভক্তরাও পারেননা খেলোয়াড়দের আপন করে নিতে।
এই নিয়মে বেড়াজালে তামিম নিজেও জানেন, তাকে ছাড়তে হতে পারে তার নেতৃত্বে দুইবার শিরোপা জয় করা বরিশাল দলও৷
এমন কিছুতে যে বিপিএলের ক্ষতি, অন্য সবার মত এই বোধ এসেছে তামিমেরও৷ আর এবার সেটাকে প্রকাশ করেই দিলেন খান সাহেব।
আগামী দিন এই জায়গায় কাজ করুক বিসিবি, এমনটাই চাওয়া থাকবে সবার।




