মায়ানমারের থেকে লাওস, বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা মনে রাখবেন অনেকদিন। দুরত্ব বদলালেও দুই জায়গায়ই রচিত হয়েছে ইতিহাস৷
সিনিয়ার থেকে জুনিয়াররা, সবাই যে এখানে করেছে অসম্ভবকে সম্ভব।
যে অসম্ভবকে সম্ভব করে বাংলাদেশ এখন এশিয়ান মঞ্চে
নারী ফুটবলে নেই তেমন সুযোগ সুবিধা, নেই বাফুফের লীগ।
এর সাথে যুক্ত হয়েছিল সিনিয়ার খেলোয়াড়দের দ্বন্ধ। জাতীয় দলের অনেক বড় বড় তারকাদের ছাড়াই চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ দল।
তবে ছিলেন একজন। তিনি পিটার বাটলার। ইংলিশ এই কোচের হাত ধরেই যে এলো বাংলাদেশের স্বপ্নপুরণ।
বাফুফের এলিট একাডেমি থেকে বাংলাদেশ নারী দলের কোচ। একসময় ওয়েস্ট হ্যামের মত ক্লাবে খেলেছেন, কোচিং ক্যারিয়ারটাও দীর্ঘ।
কাজটা তাই ভালোমতই জানেন বাটলার। সেই কাজের শুরুটা করলেন সাফ দিয়ে
সাফের মঞ্চে ভারত, নেপালের মত দলকে টপকে জিতেছেন শিরোপা৷
সিনিয়ার পর্যায়ে শিরোপা জিতিয়েছেন, জুনিয়ার পর্যায়েও এনে দিয়েছেন সাফের শ্রেষ্ঠত্ব৷ তবে ৭ দলের আসরের শিরোপায় যেন মন মানেনি ভক্তদের।
আশা ছিল দলকে নিয়ে যাবেন বড় মঞ্চে। এশিয়ান গেমসে গিয়ে সেই প্রত্যাশাই পুরণ করলেন বাটলার।
এর আগে মুল নারী দলকে নিয়ে গেছেন এশিয়ান গেমসে। সেখানে মায়ানমারকে তাদের মাঠে ২-১ গোলে হারানোর মাধ্যমে এশিয়ান গেমসে চলে যায় ঋতুপর্নারা।
এছাড়া গ্রুপের ৩ ম্যাচেই পায় জয়, প্রতিপক্ষের জালে বসিয়ে দেয় গোলবণ্যা৷
সিনিয়াররা কোয়ালিফাই করে বিশ্রাম পেয়েছে কিছুটা, কিন্ত দায়িত্ব শেষ হয়নি বাটলারের
সিনিয়ারদের দেখানো পথে যে এবার জুনিয়ারদের নেওয়ার পালা৷ অনুর্দ্ধ ২০ দলকে নিয়ে এবার লেগে পড়লেন বাটলার।
সাগরিকাদের নিয়ে এবার চ্যালেঞ্জ লাওসে। শুরুর ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয় ৩-১ গোলে৷ এরপরের ম্যাচে প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশ দিয়েছে গুণে গুণে ৮ গোল। সেখানেই যেন অনেকটা এশিয়ান গেমসে চলে যায় বাংলাদেশ।
শেষ ম্যাচে হারলেও সেরা রানারআপ বাংলাদেশ দল৷ আরো এক অসাধ্য সাধণ করলেন বাটলার
কোচ কি করতে পারেন, সেটা হয়ত স্পেনে বসে হ্যান্সি ফ্লিক থেকে দেখিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশে থাকা বাটলার৷
তবে নারী ফুটবলে কোচের এই অগ্রগতির সময়ে পুরুষ ফুটবলে ভালো মানের কোচের অভাবেই ভুগছে।
হামজা, সামিত, ফাহমিদুল, কাজেমদের মত রত্ন পেয়েও কোচের অভাবে কাজে লাগাতে পারছেনা বাংলাদেশ ।
তাই নারী ফুটবলের এই অগ্রগতির আনন্দের দিনেও কিছুটা আফসোস ঝড়াও কন্ঠ থাকে পুরুষ ফুটবলের কথা ভাবলে।
পুরুষ দলেও যদি থাকত একজন পিটার বাটলার৷




