গত দেড় বছরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডেথ ওভারে সবচেয়ে কার্যকর বোলারদের তালিকার শীর্ষে আছেন, বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত এই সময়ের পরিসংখ্যান বলছে, ডেথ ওভারে সবচেয়ে কম ইকোনমি রেটে বোলিং করেছেন তাসকিন,প্রতি ওভারে মাত্র ৬.১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১৭টি উইকেট।
এমন পারফরম্যান্সে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ তারকা মোহাম্মদ আমির, ভারতের তরুণ সেনসেশন আর্শদীপ সিং সহ বিশ্বসেরা অনেক বোলারকে।
শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের আরেক পেসার মোস্তাফিজুর রহমানও।
বাঁহাতি এই কাটার মাস্টার ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২০ ইনিংসে ডেথ ওভারে বল করে দিয়েছেন ৭.৩৭ ইকোনমি রেটে, আর শিকার করেছেন ১৫টি উইকেট।
অর্থাৎ বিশ্বের সেরা ডেথ বোলারদের তালিকায় বাংলাদেশের দুই পেসার রয়েছেন।
তাসকিনের ঠিক পরের অবস্থানে আছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার জ্যাকব ডাফি।
তিনি ১০ ইনিংসে ডেথ ওভারে বোলিং করে দিয়েছেন ৬.৭৭ ইকোনমি রেটে, উইকেট নিয়েছেন ৯টি।
তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নাথান এলিস, যার ডেথ ওভারের ইকোনমি ৬.৮৫ এবং সমান ৯টি উইকেট।
পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমির দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন এবং ফিরে ডেথ ওভারে ভালো নিয়ন্ত্রণ দেখান।
তবে তার ইকোনমি রেট ৭.৪৬ যা তাকে তালিকার পঞ্চম স্থানে রেখেছে। ১০ ইনিংসে তিনি উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৩টি।
প্রথম সাতজনের মধ্যে একমাত্র স্পিনার হলেন শ্রীলঙ্কার মহেশ থিকশানা। ১৫ ইনিংসে ডেথ ওভারে তার ইকোনমি ৭.৮৪, উইকেট ১০টি।
ভারতের আর্শদীপ সিংও সমান ৭.৮৪ ইকোনমি রেটে খেলেছেন ১৮ ইনিংস এবং নিয়েছেন ১৮টি উইকেট।
বাংলাদেশ দল ২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একাধিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে, এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ তে পরাজিত হয়। তবে বছরের দ্বিতীয় ভাগে দল ঘুরে দাঁড়ায়।
শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পরপর দুটি সিরিজেই ২-১ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
তাসকিন ও মোস্তাফিজের এই ধারাবাহিক ডেথ ওভারের সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের আত্মবিশ্বাস ও ম্যাচ শেষ করার সক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
ক্রিকেটবিশ্বে যেখানে ডেথ ওভারে রান চেপে ধরা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে বাংলাদেশের দুই পেসার একসঙ্গে শীর্ষ পাঁচে এটা নিঃসন্দেহে দলের শক্তিবাড়িয়েছে বহুগুন।
একসময় বলা হতো ডেথ ওভারে কার্যকরী নয় তাসকিন,তবে এখন চিত্র ভিন্ন।
এমন পারফরম্যান্স যদি ধরে রাখতে পারেন, তবে ভবিষ্যতে আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোতেও বাংলাদেশকে বড় সাফল্য এনে দিতে পারেন তাসকিন-মোস্তাফিজ জুটি।




