গত আসরে প্রিমিয়ার লীগে করেন ১৬ গোল এসিস্ট। এই স্টাটসে আপনি মুগ্ধ নাও হতে পারেন। তবে ইঞ্জুরির সাথে গত আসরের অধিকাংশ সময় লড়াই করেছেন জোয়াও পেদ্রো। যে কারনে গত আসরে খেলছেন মোট ২৭ ম্যাচ। শুরুর একাদশে ছিলেন ২৩ব ম্যাচে। তবে তার মাঝেও ১৬ গোল এসিস্ট করেছেন জোয়াও পেদ্রো। সেটাও ব্রাইটনের মত দলের হয়ে।
যে কারনে ট্রান্সফার মার্কেটে তাকে চড়া মুল্যে কিনে নেয় চেলসি। ইঞ্জুরিতে ভোগা এমন একজনের চড়ামূল্যে সমালোচোনা করেন অনেকে।
তবে ইঞ্জুরিমুক্ত থাকলে আর ভালো দল পেলে পেদ্রো কি করতে পারেন, তার প্রমান দেন অল্পদিনেই।
চেলসির হয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেই নেমে যান মাঠে। সেখানে শুরুর ম্যাচে নিজের সাবেক ক্লাব ফ্লুমিনেসের বিপক্ষে করেন জোড়া গোল।
তার জোড়া গোলের উপর ভিত্তি করে ফাইনালে যায় চেলসি। ফাইনালেও গোল আসে তার পা থেকে। সেখানে গোল করেন জায়ান্ট পিএসজির বিপক্ষে।
যে গোলে শিরোপা লাভ করে চেলসি। অর্থাৎ দলে এসেই চেলসির স্বপ্ন সারথী বনে যান পেদ্রো
তবে সেখানেই থেমে থাকেনি তার গোল উতসব। ক্লাব বিশ্বকাপে যেখান থেকে শেষ করেছেন, সেখান থেকেই প্রাক মৌসুমে করলেন শুরু।
আগের দিন গোল করেছেন জার্মান জায়ান্ট বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে। সে ,ম্যাচে তার ও এস্তেভিও এর গোলে জয় পায় চেলসি।
এবার গোল করলেন ইতালিয়ান জায়ান্ট দলের বিপক্ষে। এসি মিলানের বিপক্ষে পেদ্রো গোল করতে সময় নেন মাত্র ৮ মিনিট।
টানা দুই ম্যাচে পেদ্রোর গোলে জয়ের সুবতাস চেলসি দলের। অপরদিকে যেন গোল করাকে নেশার মত বানিয়ে ফেললেন এই ব্রাজিলিয়ান নাম্বার নাইন।
ইপিএলের তিনি প্রুভেন খেলোয়াড়।ব্রাইটনের হয়ে দুই মৌসুমে ৩০ গোল আছে তার। ইঞ্জুরি না থাকলে সে সংখ্যাটা বাড়তে পারত আরো।
এরপর চেলসিতে এসেছেন গোল করছেন জার্মানি, ফ্রাঞ্চ, ব্রাজিল, ইতালির শীর্ষ সব দলের বিপক্ষে।
ব্রাজিলিয়ান পেদ্রো বুঝিয়ে দিচ্ছেন, বিশ্ব কাপাতেই আসছেন এই তারকা।
আগামী দিনে ব্রাজিল দলে সু্যোগের দ্বারপ্রান্তে আছেন পেদ্রো। ব্রাজিল জার্সিতে পেদ্রোর এই ফর্ম দেখার প্রত্যাশা সব সেলেসাও সমর্থকদের।




