ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সম্মান ব্যালন ডি’অরের মনোনয়ন তালিকায় এবার জায়গা হয়নি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আলভারেজের।
গত মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলে দারুণ পারফরম্যান্স করলেও তালিকায় নাম না থাকাটা অনেককে অবাক করেছে।
তবে এসব নিয়ে ভাবিত হওয়ার মানুষ নন আলভারেজ। তার কাছে গোল করাই যেন এক প্রকার নেশা, আর মৌসুম শুরুর আগেই সেই নেশার প্রমাণ মিলল আবারো।
আটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে প্রাক-মৌসুমি ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পেলেন আলভারেজ।
ম্যাচের শুরুতে উভয় দলই সমানে সমান লড়াই করছিল। ০-০ সমতায় থাকা অবস্থায় হঠাৎই পাল্টা আক্রমণে যায় আতলেটিকো।
সেই আক্রমণ শুরু করেন স্বয়ং আলভারেজ। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে দারুণ দৌড়ে এগিয়ে গিয়ে তিনি পাস দেন সহখেলোয়াড় বাইয়েনাকে।
বাইয়েনা আবারও বল ফিরিয়ে দেন আলভারেজকে, আর কোনো ভুল না করে নিখুঁত শটে জাল কাঁপিয়ে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
গোলের পর সতীর্থদের সঙ্গে তার উচ্ছ্বাস প্রমাণ করে, গোল করা এখনো তার স্বভাবসুলভ কাজ।
দলীয় পরিকল্পনায়ও আলভারেজের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো।
শুধু গোল করাই নয়, আক্রমণ গঠন, পাস দেওয়া এবং প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভাঙার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন সক্রিয়।
ডিয়েগো সিমিওনের দল হিসেবে মাঠে নেমে খেলোয়াড়দের পারস্পরিক বোঝাপড়া স্পষ্ট ছিল।
শুরু থেকে সুযোগ তৈরি করে খেলার যে মানসিকতা, সেটাই তাদের এগিয়ে রাখে।
এই ম্যাচে সিমিওনে দলে রেখেছিলেন নিজের ছেলে জুলিয়ানো সিমিওনেকেও। শুরু থেকেই মাঠে নেমে লড়াই করেছেন তিনি।
অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক হুয়ান মুসো এবং রাইটব্যাক নাহুয়েল মোলিনাকে।
এছাড়া আটলেটিকো জার্সিতে প্রথমবারের মতো খেলেছেন থিয়াগো আলমাদা। তার নৈপুণ্যও সমর্থকদের নজর কেড়েছে।
প্রাক-মৌসুমি ম্যাচ হলেও খেলোয়াড়দের মাঠে পারফরম্যান্স ছিল প্রতিযোগিতামূলক।
সিমিওনের কৌশল, খেলোয়াড়দের মাঠে দৌড়ঝাঁপ এবং একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় মৌসুমের জন্য দারুণ বার্তা দিচ্ছে।
বিশেষ করে আলভারেজের মতো ফরোয়ার্ডরা ফর্মে থাকলে আটলেটিকোর আক্রমণভাগ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।
ব্যালন ডি’অরের তালিকায় না থাকা হয়তো কিছুটা হতাশার কারণ হতে পারে, তবে আলভারেজ প্রমাণ করছেন ব্যক্তিগত পুরস্কার নয়, মাঠের পারফরম্যান্সই আসল।
মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই গোলের ভেলকি দেখিয়ে তিনি যেন জানিয়ে দিলেন, প্রতিপক্ষ রক্ষণের জন্য আসন্ন মৌসুমটা মোটেও সহজ হতে যাচ্ছে না।




