বাংলাদেশ ফুটবলে একসময় আশার আলো জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন জামাল ভূঁইয়া।
বিদেশে জন্ম নিয়েও দেশের পতাকার জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন, ভাঙা দলকে নেতৃত্ব দিয়ে গড়েছেন স্বপ্নের দল।
কিন্তু সময়ের নিয়মে তিনিও এখন ক্যারিয়ারের শেষ বাঁকে। ঠিক এমন সময় আলোয় ভেসে উঠেছেন এক নতুন নাম,বাংলাদেশ ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তারকা, হামজা চৌধুরী!
লেস্টার সিটির মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবে অধিনায়কত্ব করেছেন হামজা।
মাঠে তার উপস্থিতি মানে প্রতিপক্ষের জন্য ভয়, সতীর্থদের জন্য প্রেরণা।
যদি এখনই জাতীয় দলের আর্মব্যান্ড তার হাতে তুলে দেওয়া যায়, বদলে যেতে পারে পুরো দলের আবহাওয়া।
দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা, ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলানো, আর ম্যানেজমেন্টের সাথে পেশাদার সম্পর্ক, সব মিলিয়ে তৈরি হতে পারে পারফেক্ট কম্বিনেশন।
কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায় সেটি দলের কোচ। হাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠেই হেরেছে বাংলাদেশ, প্রশ্নবিদ্ধ একাদশ আর অদ্ভুত ট্যাকটিক্সে। খেলোয়াড়দের পজিশন পাল্টে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকে।
এমনকি বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন ক্যাবরেরার পদত্যাগ।
কিন্তু ফল কী? কোচ রয়ে গেছেন, বরং পদ হারিয়েছেন সেই সাহসী সদস্যই!
এখন প্রশ্ন একটাই,বাফুফে কি সুবুদ্ধি দেখাবে? যদি নতুন, অভিজ্ঞ এবং কৌশলী কোচ আনা হয়, আর সমীত, হামজা, ফাহমিদুল, মিচেল, আল আমিন, হৃদয়দের সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়,তাহলে হামজার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শুধু মাঠে ভালো খেলবে না, বরং একদিন এশিয়ার মঞ্চেও কাঁপন ধরিয়ে দিতে পারে।
এশিয়ার ফুটবল দুনিয়া কি প্রস্তুত লাল-সবুজ ঝড় সামলাতে? উত্তর হয়তো সময়ই দেবে।




