“ফাজলামো করে যদি বলি- আমার রোবট হতে হবে, এছাড়া কোনো অপশন নেই। আমার কাছে মনে হয় বোলার আর কিপারের ভিউটা সবচেয়ে ভালো থাকে। ওরা যদি ভালো ফিডব্যাক দেয়। আমি হয়ত মিড অফে থাকি। কিপার আর বোলার ভালো ফিডব্যাক দিলে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি আগেও অনেক রিভিউয়ে সফল হয়েছি। আমার মনে হয় মাঝেমাঝে এগুলোও আপনাদের দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ। মাঝেমধ্যে হয়ত হয় না। শুধু আমি না, বিশ্বের সব অধিনায়কই এটার সম্মুখীন হয়। এজন্য আমার কিছু সাপোর্টও দরকার।”
রিভিউ নিতে অনেক সময় সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন মুমিনুল হক। আবার কখনো ভুল রিভিউ নিয়ে হাসির খোরাকের পাত্র হন। তবে আজ সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বললেন, সব রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত সঠিক হতে হলে তাঁকে রোবট হতে হবে।
রিভিউয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মতামতের গুরুত্ব থাকে উইকেটকিপার ও বোলারের। এক্ষেত্রে বোলারের চেয়ে উইকেটকিপারের মতামত প্রাধান্য দিয়ে থাকেন অধিনায়করা। আবার অনেক সময় উইকেটকিপার বুঝতে ভুল করলে সিদ্ধান্ত অধিনায়কের ওপরেই ছেড়ে দেন।
তবে বিগত কয়েক সিরিজে রিভিউ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়েছে টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুলকে। অনেকসময় উইকেটকিপার মতামত দিলেও সেটি ভুল হওয়ায় দায় চেপেছে তাঁর কাঁধেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে এ ইস্যুতে কথা বলেছেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। তাঁর মত, শুধু খারাপ কেনো, যেসব রিভিউতে সফল হয়েছে সেগুলোও তুলে ধরা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে রেকর্ড বেশ ভালো মুমিনুলের। ১৭ ইনিংসে ৮৮৪ রান করেছেন তিনি। সেঞ্চুরিই রয়েছে চারটি। তবে বিগত সময়ে ব্যাট হাতে সময় ভালো কাটছে না তাঁর। যে কারণে প্রতিপক্ষ যেহেতু শ্রীলঙ্কা, তাই নিজের পছন্দের ইনিংস কোনটি। মুমিনুল তুলে আনেন ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে জোড়া সেঞ্চুরির কথা।
“শ্রীলঙ্কার সাথে খেললে ভালো খেলব এমন কোনো প্রেরণা কাজ করে না। তাদের বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরিই হয়ত সবচেয়ে স্মরণীয়। তখন খারাপ সময় যাচ্ছিল, চাপে ছিলাম।”