শান্তর ব্যাটে ভর করে ১৭৩ রান করে সিলেট।
১৭৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামে বরিশালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও ইব্রাহীম জাদরান।
ভালো শুরুর পর ১৯ বলে ৩১ রানের ক্যামিও খেলে তানজিম সাকিবের বলে বিদায় নেন সাইফ হাসান।
রয়ে সয়ে খেলতে চাইলেও ৮ বলে মাত্র ৩ রান করেই সাকিবের বলে আউট হন এনামুল হক বিজয়।
বিজয় আর সাইফ আউট হলেও,রয়ে সয়ে খেলতে থাকেন ইব্রাহিম জাদরান।
ইব্রাহীম আর সাকিবের মাঝে গড়ে উঠে ৫০ রানের বেশির একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপও!
তবে রাজার বলেআউট হয়ে যান ইব্রাহিম।
তবে বরিশাল বড় ধাক্কা খায়,যখন রাজার বলে ক্যাপ্টেন সাকিবও বোল্ড হয়ে ফেরেন।দুর্দান্ত খেলতে থাকা সাকিব আউট হয়েছেন ১৮ বলে ২৯ করে রাজার বলে।
যদিও এই রাজাকে আগের ম্যাচেই সাইড ব্যাঞ্চে থাকতে হয়েছিলো।
চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পরে বরিশাল,আর প্রয়োজনীয় রান তখন ওভার প্রতি প্রায় ১২!
তবে খেলার মোড় ঘুরে যায় মাশরাফির করা ১৬ নম্বর ওভারেই! ম্যাশের এই এক ওভারেই করিম জান্নাত হাকান টানা ৩ ছয়!
তবে বরিশালের হাতের ম্যাচ বেড় হয়ে যায় পরের ওভারে আসা আমিরের বলে!
ইনিংসের ১৭ নম্বর ওভারের প্রথম বলে মাত্র ১ রান দিয়ে, আদায় করে নেন ৫ টি ডট! পাশাপাশি তুলে নেন ছন্দে থাকা জান্নাতের উইকেট।
পরবর্তী ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিলো ৪১ রান।
উইকেটে ছিলেন ইফতেখার এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।দুই ওভিজ্ঞর বিপক্ষে বল করতে আসেন তরুন তানজিম সাকিব।তবে বড় মুল্যই চুকাতে হয় ম্যাশকে, ইফতেখারের ব্যাট থেকে শুরুর দুই বলেই ৪,৬ দিয়ে শুরু এরপর সিঙ্গেল আসলেও নিজের প্রথম বলেই ছয় হাকান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।ফলে বেশ ভালো করেই ম্যাচে ফেরে বরিশাল ১৮ তম ওভারে আসে ১৮ রান।
ম্যাচের লাগাম তখন দুই দলের কাছেই সমান সমান।।তবে পরের ওভারে আবারো সেই মোহাম্মদ আমির লাগাম টানেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। প্রথম বলেই তুলে নেন উইকেট।
ওপেনিংয়ে ভালো করা মিরাজ ব্যট করতে নামেন ৮ নম্বরে।
আমিরের ৫ নম্বর বলে ৬ হাকিয়ে আবারো ম্যাচ জমিয়ে তুলেন মেহেদী মিরাজ।শেষ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ১৫ রান,আর ইফতেখারের সামনে বোলার তরুন রেজাউর রহমান রাজা। আর রাজার প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফিরেন বরিশালের বড় ভরসা ইফতেখার।।
এরপর মিরাজ রান আউট হলে,৫ম বলে ছয় হাকান ওয়াশিম, শেষ বলে ৪ হলে মাত্র ২ রানে হারে বরিশাল!.
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ ওয়াসিমের তোপের মুখে পড়ে সিলেট। ১৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
গোল্ডেন ডাক মারেন জাকির হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। অর্থাৎ নিজেদের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান তারা। তৌহিদ হৃদয় দলে ফিরলেও ছন্দে ফিরতে পারেননি। মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে যান।
এরপরই জুটি বাধেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং ইংলিশ ব্যাটার টম মুরস। দুজন মিলে ৮১ রানের জুটি গড়েন। ৩০ বলে ৪০ রান করে সাকিব আল হাসানের বলে আউট হয়ে যান মুরস।
এরপর থিসারা পেরেরার সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি বাঁধেন শান্ত। পেরেরা ১৬ বলে করেন ২১ রান। ইমাদ ওয়াসিম উইকেটে নেমে ৫ রান করে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। ৬৬ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে যান শান্ত। ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার ছিল তার ব্যাটে।।