গত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে ২য় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগাররা।
একাদশ পরিবর্তনের আভাস থাকলেও,অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
ইংলিশদের হয়ে যথারিতি ম্যাচ শুরু করতে আসেন জেসন রয় আর সল্ট! তবে নিয়ন্ত্রিত বলে,শুরু থেকেই চেপে রাখে সাকিব তাসকিন।ইংলিশদের ব্যাটিং লাইন আপে প্রথম আঘাত হানে তাসকিন আহমেদ।শান্তর দুর্দান্ত ক্যাচে আঊট হয়ে ফেরেন সল্ট।
গত ম্যাচে দুর্দান্ত শতক হাকানো ডেভিড মালান, নামেন তিন নম্বরে।
কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকা মালান,১৯ বলে ১১ রান করেই,প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মিরাজের বলে।
চার নম্বরে নামা ভিঞ্চও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি,টি ব্রেকের পর, ১৬ বলে মাত্র ৫ রান করেই তাইজুলের বলে আউট হয়ে যান তিনি।
তবে ইংলিশদের হয়ে একাই লড়াই করে যাচ্ছিলেন জেসন রয়,তার সাথে বড় পার্টনারশিপ গড়েন অধিনায়ক জস বাটলার।
৩০ তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের বাউন্স বলে এক রান করেই, ১০৪ বলে দুর্দান্ত এক শতক হাকান,জেসন রয়।যা তার ক্যারিয়ারের ১২ তম ওডিয়াই শতক।
এরপরই মার্কুটে হয়ে পরেন দুই ব্যাটসম্যানই।
ম্যাচের ৩৫ তম ওভারেই ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন এই দুই ব্যাটার।
অবশেষে ১৩২ রানে, জেসন রয়কে থামান মিস্টার সেভেন্টি ভাইভ,সাকিব আল হাসান।
তার পরের ওভারেই উইল জ্যাকসকে ফেরান, তাসকিন আহমেদ।তবে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার।
এরপর মিরাজের দুই বলে দুই ছক্কা হাকিয়ে,৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা।এরপর ৩ নম্বর বলেই ক্যাচ এন্ড বোল্ড করেন মিরাজ।ফেরান ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা,বাটলারকে।
এরপর চার ছয়ের ফুলঝুরি দেখা যায় মঈনের ব্যাট থেকে,তবে তাকেও শিকার করেন তাসকিন আহমেদ।
এরপর স্যাম কারনের ৩৩ রানের ক্যামিওতে ৩২৬ রানের টার্গেট দেয় ইংলিশরা। যা মীরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান ইংলিশদের।