স্বল্প পুঁজি নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে শুরুতে চাপে ফেললেও শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখতে পারেনি বাংলাদেশ দল। সামারাবিক্রমা ও আসালাঙ্কার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৬৬ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের দেয়া ১৬৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে দিমুথ করুনারত্নেকে ফেরান তাসকিন। পরের ওভারে আঘাত হানেন শরিফুল। ১৪ রান করা পাথুম নিশাঙ্কাকে বানান উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ। দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে লঙ্কানরা।
উইকেটে থাকার লড়াই চালিয়ে যাওয়া কুশল মেন্ডিসকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাকিব। তখন পর্যন্ত আশা বেঁচে ছিল বাংলাদেশের। এরপর সামারাবিক্রমা আর আসালাঙ্কা ৭৮ রানের জুটি গড়লে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে টাইগাররা।
দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ফিফটির পর শেখ মেহেদিকে এগিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন সামারাবিক্রমা। পরের ওভারে ডি সিলভাকে ফেরান সাকিব। একপ্রান্ত আগলে রেখে আসালাঙ্কা ফিফটি করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৯২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব ২৯ রানে নেন ২টি উইকেট।
এর আগে শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৪ রানের মাথায় মাহিশ থিকসানার বলে এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে পরে সাঝঘরে ফিরতে হয় তানজিদ তামিকে। ২ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে জুটি গড়লেও তা বেশি বড় করতে পারেনি নাঈম। দলীয় ২৫ রানের মাথায় ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে তুলে মারতে গিয়ে নিসানাকার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাঈম। ২৩ বলে ১৬ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকে। অধিনায়ক সাকিবও পারেনি নিজেকে মেলে ধরতে। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় পাথিরানা বলে উইকেটের পেছনে মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। ১১ বল খেলে ৫ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার কাজটা করেন শান্ত। হৃদয়কে নিয়ে গড়েন ৫৯ রানের জুটি। দলীয় ৯৫ রানের মাথায় ৪১ বলে ২০ করে হৃদয় ফিরলেও টিকে ছিলেন শান্ত।
হৃদয়ের বিদায়ের পর মুশফিককে নিয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শান্ত। তবে দলীয় ১২৭ রানে মুশফিকের বিদায়ে সেই আশা ভাঙে শান্তর। ২২ বলে ১৩ রান করেন মুশফিক।মিরাজ,শেখ মাহেদীরা এদিন ব্যাট হাতে এদিন ব্যর্থ। দলীয় ১৬২ রানের মাথায় শান্ত ৮৯(১২২) আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংস আর বেশিদূর এগোয়নি।শেষ পর্যন্ত ৪২.৪ বলে ১৬৪ রানে থামে টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে পাথিরানা সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন