বাংলায় একটা প্রবাদ আছে যতো গর্জে তত বর্ষে না।
ব্রাজিলে ফুটবল দলের যেনো সে করুন দশা।
কেউ বা বলেছেন নতুন পেলে আর কেউ বা রোনালদো নাজারিওর ছায়াও দেখেন ব্রাজিলের ওন্ডার বয় কি এন্ডিকের মাঝে।
তাকে নিয়ে, ব্রাজিল সর্মথকদের অহংকার ছিলো চোখে পরার মতন।
কিন্তুু সে অহংকার বা আশা ভরসা সবকিছুর চোখে গুড়েবালি দিয়েছেন এন্ডিক।।
পুরো কোপা আমেরিকা জুড়ে চরম ব্যার্থতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
শুধু এন্ডিকই হবেন কেনো, পুরো ব্রাজিলের ফরওয়ার্ড লাইনেই ছিলো কোপা আমেরিকা তে চরম ব্যার্থ।
তারুণ্যের শক্তিতে ভরপুর তবুও মাঠের ফুটবল তার কিছুই অনুবাদ করতে পারেননি ব্রাজিলের ফুটবলার।
অথচ যেখানে ব্রাজিলের তারুণ্য হয় ব্যার্থ সেখানে, উরুগুয়ের ৩৭ বছর বয়সী সাবেক বার্সা তারকা লুইস সুয়ারেজ কোপা আমেরিকার মঞ্চে হয়ে যান উরুগুয়ের ত্রাণকর্তা।
সুয়ারেজের ম্যাজিকে কানাডার বিপক্ষে নিস্চিত পরাজয়ের মুখ থেকে, বেঁচে ফিরে জয়ের স্বাদ পায় ১৫ বারের কোপা চ্যাম্পিয়নরা।।কিসের জাদুবলে কোপা-আমেরিকার মঞ্চে জ্বলে উঠতে পারেন উত্তর টা সহজ দেশের প্রতি নিবেদন, ক্লাবের চেয়েও সুয়ারেজ দের দেশ হয়ে যায় বড়।
আর ঠিক সেটারই কমতি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের।। বাদ চলুন ঘিরে আসি উরুগুয়ের বনাম কানাডার ম্যাচের সুয়ারেজ নামা থেকে।।
কোপা-আমেরিকার তৃতীয় স্হান
নির্ধারণী ম্যাচের শুরু থেকে ফেবারিট উরুগুয়ের সোয়ানে সোয়ানে টক্কর দিতে থাকে কোপা-আমেরিকার কানাডা।বল পজিশন শূট অন টার্গেট সবকিছু তেই, এগিয়ে ছিলো নবাগত দলটি।। এমনকি ম্যাচের ৯০ মিনিটি পর্যন্ত ২-১ ব্যাবধানে এগিয়ে থেকে তখন জয়ের সপ্ন বিভোর কানাডিয়ানরা। আর মাত্র কয়েক মিনিটের আপেক্ষা এরপরই ক্যানকাফ অঞ্চলের দলটি লেখবে ইতিহাস। প্রথম বার কোপা আমেরিকা খেলতে এসেই তৃতীয় স্হান করবো আর্জন।
ঠিক তখন কানাডিয়ান দের সে সপ্ন কে ধলিস্যাৎ করে দেন লুইস সুয়ারেজ।
৯২ তম মিনিটে চালান সাবেক বার্সা তারকা ৩৮ ছুই ছুই লুইস সুয়ারেজ ম্যাজিকে সমতায় ফিরে উরুগুয়ে।
এবং শেষ পর্যন্ত ম্যাচ টা, গড়িয়ে পড়ে ট্রাইব্রেকার শূট-আউটে।।
সেখানে গিয়ে আর নার্ভ ধরে রাখতে পারেনি কানাডার ফুটবলাররা।
৪-৩ ব্যাবধানে পরাজয় বরণ করে নিতে হয়।
কানাডা যেনো ম্যাচ হেরে গুলো একজন লুইস সুয়ারেজের কাছে।।
৩৭ বছর বয়সী সুয়ারেজ যেনো এন্ডিকদের দেখিয়ে দিলেন কিভাবে দেশের জন্য শেষ বয়সেও জীবন দিয়ে লড়তে হয়।।