২০২২ বিশ্বকাপ থেকে বিদায়, এরপর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও ছয় নাম্বারে থাকা, এরপর কোপা আমেরিকার চার ম্যাচে জয় মাত্র এক ম্যাচে। এর মাঝে উড়ুগুয়ের সাথে ড্র করে বিদায়। নিসন্দেহে এই ব্রাজিল দল আপনার অচেনা। অবস্থা এমন দাড়িয়েছে, কোন উচু সারির দল দেখলেই বর্তমানে ব্রাজিলকে আন্ডারডগ মনে হয়। যে কারণে দলকে নিয়ে বর্তমানে উচ্চাশা করছেননা ভক্তরা। তবে কয়েকটি পরিকল্পনা দলকে বদলে দিতে পারে আগামী দিনে।
এর মাঝে একটি হতে পারে নেইমারের নেতৃত্ব। প্রতিভার দিক দিয়ে নেইমার সেরাদের সেরা। তবে দলকে আগলে রাখার দিক থেকেও নেইমির আছে বিশেষ গুণ। আগামী দিনে ব্রাজিলকে খেলতে হবে নেইমারের জন্য। সব সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা দিতে হবে নেইমারকে। মাঠে সবার নিজেকে উজাড় করতে হবে নেইমারের জন্য। নেইমারকে ঘিরেই পরিকল্পনা সাজাবেন কোচ। মিডফিল্ড কিংবা উইঙ, সবার পরিকল্পনা অংশ থাকবেন নেইমার। অভিজ্ঞ ও প্রতিভাবান নেইমার যদি সুযোগ পান, তবে যে কারো বিপক্ষেই ম্যাচ ঘুড়িয়ে দিতে সক্ষম তিনি। এর প্রমাণ নেইমার আগেও দিয়েছেন, ভবিষ্যতেও পারেন দিতে
উইঙে সামর্থ্যবান খেলোয়াড়ের অভাব নেই ব্রাজিল দলে। তবে জাতীয় দলে অনেকেই মেলে ধরতে পারেননা। এর পিছনে শোনা যায় মিডফিল্ডারদের ব্যার্থতা। দলে ভালো কিছু করতে হলে ঢেলে সাজাতে হবে মিডফিল্ড। সেক্ষেত্রে চাইলেও স্কোয়াডের সবাইকে পরিবর্তন করা যাবেনা। বরং দেখতে হবে কোন ফর্মুলায় ক্লাবে তারা ভালো খেলে। সেই ফর্মুলা প্রয়োগ করতে হবে জাতীয় দলে। একবার যদি ছন্দ পেয়ে যান, তবে ব্রুনো, পাকুয়েতা, লুইজরাই ব্রাজিলের মিডফিল্ডকে বদলে দেওয়া জন্য যথেষ্ট সামর্থ্যবান। আর সেটাই দায়িত্ব নিয়ে দেখতে হবে কোচকে।
শেষ দুই টুর্নামেন্টে টাইব্রেকে হার ব্রাজিলের। দলের খেলোয়াড়রা টাইব্রেক এলেই যেন আলাদা স্নায়ুচাপে ভোগেন, তাদের গিলে খায় এই অবস্থা। এমন অবস্থা এই টাইব্রেকে ভালো করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে ব্রাজিলকে। আলাদা অনুশীলন করতে হবে, তৈরি করতে হবে টাইব্রেকের জন্য আদর্শ খেলোয়াড় ও গোলরক্ষক। দলের সেরা তারকা নেইমার টাইব্রেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা, এক্ষেত্রে তিনিও রাখতে পারেন ভুমিকা। এছাড়া টাইব্রেকে পারদর্শী ও আত্মবিশ্বাসী গোলরক্ষক তৈরিতেও মনযোগ দিতে হবে।
নতুন কোচ দলে আসবেননা। ডরিভাল জুনিয়ারকে নিয়েই বিশ্বকাপে যাওয়ার সম্ভাবনা ব্রাজিলের। সেক্ষেত্রে এই কোচকেও দায়িত্ব নিতে হবে। এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে হয়ে দলকে নিয়ে। লো ব্লক, হাই প্রেস, ফিজিক্যাল গেম সবকিছুর বিরুদ্ধেই আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে যেকোন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সফলতা আসে। আর এমনটা করতে পারলে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় শিরোপা অসম্ভব না ব্রাজিলের। কারণটা দলটা ব্রাজিল, প্রতিভার নেই অভাব যেখানে। শুধু দরকার সুষ্ঠ পরিকল্পনার।