পরিসংখ্যানে গত সিজনে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় হুলিয়ান আলভারেজ। গত সিজনে আলভারেজের চেয়ে বেশি ব্লুজদের জার্সিতে খেলেননি আর কেউ। গত সিজনে আলভারেজ খেলেছেন মোট ৫৪ ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই মনে হবে, এত মিনিট খেলা একজনের কিভাবে অভিযোগ থাকে গেমটাইম নিয়ে.?
তবে সর্ষের মাঝেই আছে ভুত। অধিকাংশ ম্যাচ আলভারেজ খেলেছেন বদলি নেমে। এর মাঝে কিছু ম্যাচ সুযোগ পেয়েছেন অন্য খেলোয়াড়ের ইঞ্জুরিতে। কখনও হলান্ড, ডি ব্রুইনাদের ইঞ্জুরিতে সুযোগ মেলেছে। তবে সেটাও নিজের পজিশনে না খেলে ঘুরিয়ে খেলতে হয়েছে ভিন্ন পজিশনে। এর মাঝে সবচেয়ে বড় যে ব্যাপার, তা হলো বড় ম্যাচে আলভারেজের না খেলা। আলভারেজের বদলে খেলা হলান্ড দিনের পর দিন ব্যার্থ হলেও তার বদলে কখনই মুল একাদশে সুযোগ পাওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন না আলভারেজ।
ফলে সিটি ছাড়ার গুঞ্জন উঠেছিল তার। সেই গুঞ্জনের পালা হাওয়া দিলেন আলভারেজ। সাম্প্রতিক সময়ে ডি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুযোগ পাওয়া নিয়ে সরাসরি কথা বলেন আলভারেজ। একই সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও দেন ক্লাব ছাড়ার ইঙ্গিত। সবকিছুর সিদ্ধান্ত অলিম্পিকের পর নেবেন বলে জানান তিনি। আলভারেজ বলেন – “ এটা সত্যি যে আমি গত সিজনে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছি। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সুযোগ না পাওয়া ও অবদান রাখতে না পারা ছিল হতাশার। আমি এখনও দল বদলের ব্যাপারে ভাবিনি। তবে অলিম্পিক শেষ হলে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেব”
এদিকে আলভারেজকে পাওয়ার লড়াইয়ে আছে ইপিএলের দুই ক্লাব চেলসি ও আর্সেনাল। নতুন করে দল গঠন করছে চেলসি, সেখানে স্ট্রাইকার হিসেবে আলভারেজকে পছন্দ তাদের। আর জেসুসের আর্সেনালে থাকা নিয়ে আছে প্রশ্ন, একই সাথে দলে নেই ভালোমানের স্ট্রাইকার। এর মাঝে ওসিমান, ভিক্টরদের সাথে রিউমার উঠলেও এবার আলভারেজে নজর গানার্সদের। সিটির সাথে টক্কর দিতে সিটির অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কেই নিজেদের ডেরায় চায় তারা। এর মাঝে আগেই আলভারেজকে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল প্যারিসের ক্লাব পিএসজিও।
এবার দেখা যাক কোথায় যান আলভারেজ। আগামী সিজনেও হলান্ডে আস্থা সিটির। এমন অবস্থায় অন্য কোথাও গিয়ে নিজেকে পুর্ণাঙ্গভাবে মেলে ধরা সুযোগ খুজবেন আলভারেজ। সেই ঠিকানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে অলিম্পিক শেষ হওয়া পর্যন্ত।