মালিকানা পরিবর্তনের পর প্রথম সিজনেই চ্যাম্পিয়নস লীগে পৌছায় নিউক্যাসেল ইউনাইটেড। মধ্য টেবিলের এই দলটি বদলে যায় কিছু সময়ের মধ্যেই। নিউক্যাসেলে বর্তমানে অনেক তারকাই আছেন, আলেকজান্ডার ইসাক, ট্রিপার, আলমিরন কিংবা এন্থনি গর্ডনের মত খেলোয়াড়রাও বেশ সমাদৃত।তবে সবার থেকে এগিয়ে যেন ব্রাজিলের মিডফিল্ডার ব্রুনো গুইমারেজ। বিশেষ করে মালিকানা বদলের পর ম্যাকপাইদের প্রথম দিকের সাইনিং ছিলেন ব্রুনো। সেই সাইনিংই যেন বদলে দিয়েছে নিউক্যাসেলের ভাগ্য।
এবার নিউক্যাসেলের এই মিডফিল্ডারের দিকে চোখ ম্যানচেস্টার সিটি। এর আগে আরো এক ব্রাজিলিয়ান লুকাস পাকুয়েতার দিকে নজর ছিল সিটির। গত মৌসুমে ট্রেবল জিতলেও এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে সিটিকে। এছাড়া লীগেও আর্সেনাল ও লিভারপুল তাদের সাথে লড়াই করছে সমানে সমান। আর সেখানেই তাই ব্রুনো গুইমারেজের প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে ম্যানচেস্টার সিটি।
কেননা শক্তিশালী স্কোয়াড থাকলেও এক রদ্রির বিকল্প বের করতে পারছেনা তারা। এই সিজনে যতবার তারা হোচট খেয়েছে, কোনবারই ছিলেন না রদ্রি। এছাড়া রদ্রির বিকল্প না থাকায় টানা ম্যাচ খেলতে হয়েছে এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে, তাই ফ্যাটিগজনিত সমস্যায় অনেক ম্যাচে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনি। সেখানেই রদ্রির মত একজনকেই চায় ম্যানচেস্টার সিটি। আর ব্রুনো গুইমারেজের যে বর্তমানে এই জায়গায় ভালো কে বা আছে। এছাড়া ব্রুনো প্রিমিয়ার লীগে প্রমাণিত একজন খেলোয়াড়, যা বেশি আকর্ষিত করে সিটি কোচ গার্দিওলাকে।
যে কারণে আগামী মৌসুমে আবার কাঙ্ক্ষিত শিরোপা ধরে রাখতে ব্রুনো গুইমারেজকে চায় ম্যানচেস্টার সিটি।তবে চাইলেই ব্রুনোকে পাওয়া যাচ্ছেনা, কেননা নিউক্যাসেল তাদের অন্যতম সেরা তারকার উপর রেখেছে বিশাল মার্কেট প্রাইস। ব্রুনোকে পেতে হলে নিউক্যাসেলকে দিতে হবে ১০০ মিলিয়ন ইউরো, যা টাকার অঙ্কে ১১৬০ কোটি টাকা। তবে চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলা ক্লাবের জন্য ৮০ মিলিয়ন দিয়ে চাইলে ব্রুনো নিতে পারবে সিটি, তবে সেটিও প্রায় ৯০০ কোটি টাকার অধিক। অর্থ্যাৎ চড়া দাম দিয়েই ব্রুনোকে চাইলে নিতে হবে ম্যানচেস্টার সিটিকে। ইতিমধ্যে ৯০ মিনিট সহ অনেক ওয়েবসাইট নিশ্চিত করেছে যে সিটিজেনদের সাথে মৌখিক চুক্তি হয়ে গেছে ব্রুনো গুইমারেজের।
এর আগে ব্রুনো গুইমারেজকে নিতে আগ্রহী ছিল ম্যানচেস্টার সিটির সাথে লীগে লড়াই করা আরেক ক্লাব আর্সেনাল। থমাস পার্টে ইঞ্জুরি ও নানা কারণে আগের ফর্মে নেই। আগের সিজনে দল ত্যাগ করা শাকার বদলে রাইস আসলেও অনেকটাই শুন্য থেকে গেছে তার জায়গা। সেখানে মিডফিল্ডে শক্তি বাড়াতে এবং ডিফেন্সিভলি আরো শক্তিশালী করতে ব্রুনোর দিকে চোখ ছিল গানার্সদের। তবে বর্তমানে গানার্সদের যেন টপকে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি।
সব মিলিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময়ে আছেন ব্রুনো। এমনিতেই সেরা লীগে নিজেকে প্রমাণ করেছেন, এবার সময়ের অন্যতম সেরা ক্লাবে গিয়ে নিজেকে প্রমাণের পালা তার।