মেসি রোনালদোর পর যার প্রতিভা নিয়ে সারাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন হয়েছে, তিনি লামিন ইয়ামাল। সেটা হবারই কথা, ১৮ বছর হবার আগেই সিনিয়ার পর্যায়ে খেলেছেন ১০০ এর অধিক ম্যাচ। গোল এসিস্ট করেছেন ৫০ এর অধিক। এর বাইরে আক্রমণভাগে ড্রিবলিং, ক্রসিং, পাসিং দিয়ে নাস্তানাবুদ করেন প্রতিপক্ষকে।
স্বাভাবিকভাবে এমন এক প্রতিভার দিকে সবার নজর থাকবে। এত কম বয়সে কিভাবে কি আয়ত্ত্ব করেছেন, সেটার দিকেও থাকবে প্রশ্ন। সাংবাদিকরাও সেখানে লামিনকে প্রশ্ন করেন তার ড্রিবলিং দক্ষতা সম্পর্কে, ড্রিবলিং শেখার গুরুর গল্পে। আর সেখানে কোন মানুষ নয়,ড্রিবলিং শেখার পিছনে বাবার পোষা প্রানীর ক্রেডিট দিলেন ইয়ামাল।
ট্রিবুনাতে আসা ইয়ামালের এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানানো হয়। সেখান ইয়ামাল জানান তার ছোটবেলাড় গল্পের কথা৷ তার ট্রেনিং শেষে তাকে সবসময় নিয়ে যেতে আসতেন তার বাবা। আর সেখানে তার বাবার সাথে আসত তার পোষা প্রাণী। অধিকাংশ সময় তাদের গলায় শিকল থাকত না, তারা খোলা চলাফেরা করত। ফলে তাদের আকর্ষণ থাকত লামিনের ফুটবলের দিকে। সেই ফুটবলের দিকে ঘোড়াফেরা করত তারা। এরপর তাদেরকে সামলাতে গিয়েই মুলত ড্রিবলিং স্কিলটা পরিপক্ব করেন লামিন।
এছাড়া এর বাইরে প্রফেশনাল ফুটবল ট্রেনিং এর আগে পাসিং সম্পর্কে জ্ঞান ছিল না লামিনের। সেখানে নিজ এলাকায় ড্রিবলিং করা বা ওয়ান বনাম ওয়ানের লড়াইটা ছিল মুখ্য। আর সেখান থেকেই ফুটবলের হাতেখড়ি লামিনের, আর সেখান থেকেই পান ড্রিবলিং এর ট্রেনিং।
লামিন বলেন “ আমি যখন ছোটবেলায় পার্কে খেলতাম, সেখানে ওয়ান বনাম ওয়ান ব্যাটেল ছিল। আমি সেখানে বল পেতাম এবং কখনই পাস দিতাম না। ফলে আমি ট্রেনিংএ গিয়ে ট্যাক্টিক্স বুঝতে পারেনি। আমার বাবা আমাকে বলেছে ফুটবল একটি দলীয় খেলা, এখানে সতীর্থদের সহযোগীতাও প্রয়োজন। ট্রেনিং শেষে বাবা আমাকে নিতে আসত। সেখানে তার সাথে আসত তার কুকুররা। আর তারা শিকল হীন অবস্থায় থাকত, ফলে তারা বলের দিকে ছোটাছুটি করত। যেটা আমাকে ড্রিবলিং উন্নতিতে সাহায্য করেছে”
লা লীগায় এই মৌসুমে ২৩ ম্যাচে ৫৬ ভাগ হারে ৯৫ ড্রিবলিং, চ্যাম্পিয়নস লীগে ৯ ম্যাচে ৩৩ ড্রিবলিং। কোপা দেল রে এর আসরে ৩ ম্যাচে ১৫ ড্রিবলিং, ইউরোতে ৭ ম্যাচে মোট ১২ ড্রিবলিং। এই মৌসুমে ১৫০ এর অধিক ড্রিবলিং করা শেষ ইয়ামালের, মৌসুমের আরো রয়েছে বাকি। ইয়ামাল যে পোষা প্রানীদের থেকে ভালোই ড্রিবলিং রপ্ত করেছেন, তা তো বোঝাই যাচ্ছে।